Basirhat Basu Bari: এখন নেই কোনও ডাক্তারবাবু, হয় না চিকিৎসাও, তবুও এই 'ডাক্তারবাড়ী'-র আজও সকলের কাছে সেরা 'ট্যুরিস্ট স্পট'
- Published by:Pooja Basu
- hyperlocal
- Reported by:JULFIKAR MOLLA
Last Updated:
বসিরহাটের ঐতিহ্যবাহী বসুবাড়ি! 'ডাক্তারবাড়ি' নামে পরিচিত এক গৌরবগাঁথা৷ বসুবাড়ির ইতিহাস পাঁচ শতাব্দীরও বেশি পুরনো। বহু প্রজন্ম ধরে এই বাড়ি শুধু চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রেই নয়, সমাজকল্যাণ ও শিক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
“হাল নেই, হেঁতোল নেই, জগবন্ধু ডাক্তার!” — বাংলার গ্রামীণ প্রবাদে যাঁর নাম অমর, তিনি বসিরহাটের প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাক্তার জগবন্ধু বসু। স্থানীয়রা বলেন, ব্রিটিশ ভারতের প্রেক্ষাপটে চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব সত্ত্বেও তিনি একটিমাত্র ব্লেড দিয়ে বহু জটিল অস্ত্রোপচার ও প্রসব করতেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও চিকিৎসা দক্ষতাই তাঁকে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে চিরস্থায়ী জায়গা দিয়েছে। সেই কারণেই বসিরহাটের বসুবাড়ি আজও পরিচিত ‘ডাক্তারবাড়ি’ নামে।
advertisement
এই ডাক্তারবাড়ি শুধুমাত্র এক চিকিৎসকের স্মৃতিবাহী স্থান নয়, বরং এটি বসিরহাটের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক জীবন্ত প্রতীক। বসুবাড়ির ইতিহাস পাঁচ শতাব্দীরও বেশি পুরনো। বহু প্রজন্ম ধরে এই বাড়ি শুধু চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রেই নয়, সমাজকল্যাণ ও শিক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
advertisement
ইতিহাস বলছে, যশোহরের রাজা প্রতাপাদিত্যের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা ঈশ্বরীগুপ্ত বসু এই পরিবারের পূর্বপুরুষ। তিনিই প্রথম এই পরিবারের পুজোর সূচনা করেন। সেই পুজো আজও চলে আসছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে। প্রতি বছর দুর্গাপুজোর সময় বসুবাড়ির আঙিনা ভরে ওঠে ঐতিহ্য, ভক্তি ও আবেগে — যা স্থানীয়দের কাছে এক অমূল্য সংস্কৃতি উৎসব।
advertisement
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাহিনগর থেকে বসু পরিবার বসিরহাটের দণ্ডিরহাটে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। এখানেই তারা গড়ে তোলে জমিদারি, প্রতিষ্ঠা করে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব। দণ্ডিরহাটের মাটিতে বসুবাড়ি হয়ে ওঠে শিক্ষিত, সমাজসচেতন ও মানবসেবায় নিবেদিত এক পরিবারের প্রতীক।
advertisement
আজও বসুবাড়ির পুরোনো দেওয়াল, কাঠের বারান্দা, আর ঐতিহ্যবাহী মন্দিরের চূড়া যেন সময়ের সাক্ষী। স্থানীয়দের মুখে মুখে ভেসে ওঠে সেই গৌরবগাথা — “জগবন্ধু ডাক্তার”র দয়া, তাঁর মানবসেবা, তাঁর প্রতি মানুষের অগাধ শ্রদ্ধা।
advertisement