করোনার জেরে কাজের ক্ষেত্রে একাধিক পরিবর্তন এসেছে। বাড়ি বসে কাজ করা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিও কনফারেন্সে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে সকলে। এই ভিডিও কনফারেন্সের ফলে প্রচুর পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে বলে জানাচ্ছে নতুন একটি গবেষণা। পার্দ্যু ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, এক ঘণ্টা ভিডিও কনফারেন্সে বা ভিডিও কলিংয়ের ফলে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হতে পারে। যা ১২ লিটার জল বা iPad Mini-র সাইজের একটি জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
পার্দ্যু ইউনিভার্সিটির গবেষণা দেখাচ্ছে, কী ভাবে ইন্টারনেট পরিকাঠামো জল ও ভূমির ব্যবহারে প্রভাব ফেলছে। এই সংক্রান্ত এরা একটি সমীক্ষা করে। যাতে দেখার চেষ্টা করা হয়, ইন্টারনেটের ডেটার প্রত্যেক গিগাবাইটে কতটা করে কার্ব, জল ও ভূমি যুক্ত রয়েছে। অর্থাৎ YouTube, Zoom, Facebook, Twitter, অনলাইন গেমিং ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে কী ভাবে জল ও ভূমি জড়িত! আর তার পরই গবেষকরা বুঝতে পারেন কার্বন নিঃসরণের বিষয়টি।
যার নেতৃত্বে এই গবেষণাটি হয়েছে, সেই গবেষক কাভে মেদানি বলছেন, ব্যাঙ্কিং সেক্টরগুলি আপনাকে কাগজ ছাড়া কাজ করার অর্থাৎ ডিজিটালি কাজ করার সুবিধেগুলো বলবে। কিন্তু কেউ আপনাকে এটা বলবে না ভিডিও স্ট্রিমিং কোয়ালিটি কম করলে বা ক্যামেরা বন্ধ রাখলে আপনার কী সুবিধে হতে পারে। তাঁর কথায়, আপনার অজান্তেই কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাতাসে বাড়ছে এই নতুন টেকনোলজি ব্যবহারের ফলে।
এই গবেষণায় এটাও দেখা গিয়েছে যে, বসের সঙ্গে কনফারেন্সে কথা বলায় প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎও খরচ হয়। অর্থাৎ ডেটা প্রসেস করতে ও ট্রান্মমিট করতে অনেকটা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। ডেটা প্রসেস করা ও স্টোর করা ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও এর প্রভাব রয়েছে ভূমি ও জলের উপরে। এর লিঙ্ক রয়েছে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সঙ্গেও।
গবেষকরা পাশাপাশি দেখেন, কোনও একজন ব্যক্তি ওয়েব প্ল্যাটফর্ম যে ব্যবহার করছেন, তাঁর দেশে এর প্রভাব কী ভাবে পড়ছে! যেমন- জার্মানি রিনিউয়েবল এনার্জির দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে থাকলেও এর জল ও ভূমিতে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রভাব রয়েছে। সব মিলিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রভাব রয়েছে পরিবেশের উপরে। গবেষকরা আশা করছেন, এই বিষয়টি, গবেষণাটি মানুষকে সচেতন করবে!