Knee Pain Remedy:হাঁটুর ব্যথায় নাজেহাল? উঠতে-বসতে 'কটকট' আওয়াজ হচ্ছে? ওষুধ নয়, রোজের পাতে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রাখুন এই ক'টি খাবার,৭৫-এও ছুটবেন

ইদানীং কম বয়সেই হানা দিচ্ছে হাঁটুর ব্যথা! ২৫-৩০ বছর বয়সেই কাবু করছে হাঁটুর সমস্য! নেপথ্যে দায়ী ব্যস্ত জীবনযাত্রা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস। হাঁটুর ব্যথা কমাতে পাতে কোন কোন খাবার রাখবেন?

ঝাড়খণ্ডের রাঁচির সুপরিচিত আয়ুর্বেদ চিকিৎসক বলেছেন, হাঁটু ব্যথার সমস্যা ইদানীং খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। খুব কম ববসেই অনেকের হাঁটু ক্ষয়ে যাচ্ছে। তবে, প্রাথমিক পর্যায়ে এই ক্ষয় আটকে দিতে পারলে সমস্যার অনেকটাই সুরাহা করা সম্ভব। এর জন্য রোজের পাতে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রাখতে হবে এই কয়েকটি খাবার--

উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার--উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের মধ্যে অন্যতম হল ডাল যা জয়েন্ট ভাল রাখতে সবচেয়ে কার্যকর বলে প্রমাণিত । আবার এক বাটি কাঁচা ছোলার মধ্যে ২৫-৩০ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা হাঁটুর সচলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ডাল:ছোলার ডাল, গোটা মুগ ডাল এবং মুসুর ডাল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন এক থেকে দুই বাটি ডাল খেতে হবে। ভাতের পরিমাণ কমিয়ে দিন বরং মুসুর ডালের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে।

ড্রাই ফ্রুটস:কাজু এবং ডুমুরের মতো ড্রাই ফ্রুটস খান। তবে খাওয়ার আগে এগুলি ভিজিয়ে রাখতে হবে। কারণ এই সমস্ত ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে।

সয়াবিন এবং ওটস:উচ্চ প্রোটিন এবং কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। আসলে হাঁটুর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দেহের ওজন বৃদ্ধি পেলে তা সরাসরি ভাবে হাঁটুর উপর প্রভাব ফেলে।

জীবনযাত্রায় কী বদল আনবেন? বসে থাকার সময় পায়ের ব্যায়াম করতে থাকতে হবে। এতে পায়ের সচলতা বজায় থাকবে। দীর্ঘ সময় ধরে এক জায়গায় বসে থাকলে হাঁটু ফ্রিজ হয়ে যেতে পারে।প্রতিদিন কমপক্ষে আধ ঘণ্টা সময় রোদে বসতে হবে। গ্রীষ্ম হোক কিংবা শীত, তাতে কিছু যায়-আসে না। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি কিন্তু হাঁটুর স্বাস্থ্যের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।