Kidney: দেশে হুরহুর করে বাড়ছে কিডনির রোগ! মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিনেই ভয়ঙ্কর ক্ষতি কিডনির! এখনই সতর্ক না হলে সামনে মারাত্মক বিপদ, চিনুন উপসর্গ...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Kidney: অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়ার প্রবণতা তরুণদের কিডনির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাপ্লিমেন্ট ও ডায়েট থেকে অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাচ্ছে। সঠিক খাদ্য, জলপান ও কিডনি টেস্টই হতে পারে সুরক্ষার উপায়...
বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফিটনেস ও বডি বিল্ডিংয়ের ঝোঁক বাড়ছে, আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রোটিনের অতিরিক্ত সেবন। এই প্রবণতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিশু চিকিৎসক ডঃ শিভারঞ্জনী সন্তোষ।
advertisement
তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘‘অনেক তরুণকে দেখতে পাচ্ছি যাঁদের ক্রিয়েটিন লেভেল ১.৪১ বা ১.৫ mg/dL — কিডনি সমস্যায় পড়ছে। ওরা প্রয়োজনের চেয়েও অনেক বেশি প্রোটিন খাচ্ছে, প্রোটিন পাউডার তো আছেই।’’
advertisement
ডঃ সন্তোষ জানান, শিশুদের ক্ষেত্রে ১-৩ বছর বয়সে দৈনিক মোট ক্যালোরির ২০ শতাংশ বা ১.০৫ থেকে ০.৮৫ গ্রাম/কেজি ওজন অনুযায়ী প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। কিন্তু বাস্তবে অনেকেই দিনে ২-২.৫ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন খাচ্ছে, যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে সতর্ক করে দিয়েছেন চেম্বুর, মুম্বাইয়ের জেন মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট নেফ্রোলজিস্ট ডঃ বিশ্বনাথ বিল্লা। তাঁর মতে, ‘‘ক্রিয়েটিন লেভেল ১.২ mg/dL হলেও সেটা অনেকের জন্য উচ্চ মাত্রা বলে ধরা হয় এবং এর পেছনে কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ দায়ী থাকতে পারে।’’
advertisement
ডঃ বিল্লা আরও বলেন, ‘‘খাদ্য বা সাপ্লিমেন্ট উভয় উৎস থেকেই অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে কিডনির ওপর চাপ পড়ে, বিশেষ করে যাঁদের আগে থেকেই কিডনির সমস্যা রয়েছে। তরুণদের উচিত খাদ্যে প্রোটিনের উৎস ও পরিমাণ নিয়ে সচেতন হওয়া।’’
advertisement
থানে-র কিমস হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট, নেফ্রোলজিস্ট ডঃ মহেশ প্রসাদ জানিয়েছেন, প্রোটিনের অতিরিক্ত গ্রহণ যদি অপর্যাপ্ত জলপান বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হয়, তবে তা কিডনির ওপর আরও চাপ তৈরি করে, যার ফলে ক্রিয়েটিন লেভেল বেড়ে যায় এবং কিডনি স্ট্রেসের সংকেত দেয়।
advertisement
তাঁর মতে, তরুণদের শুধু প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ করাই যথেষ্ট নয়, তাদের উচিত নিয়মিত জল পান করা এবং কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষাও করানো। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ বা শরীরচর্চা করলে কিডনির স্বাস্থ্য নিয়মিত যাচাই করা প্রয়োজন।
advertisement
ডঃ প্রসাদ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন— ১) প্রতিদিন ওজন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১.৮ গ্রাম/কেজি প্রোটিন গ্রহণ করুন। ২) প্রোটিন পাউডার ১৪-১৫ বছর বয়সের আগে ব্যবহার করা উচিত নয়। ৩) সাপ্লিমেন্ট কেনার আগে লেবেল ভালোভাবে পড়ুন এবং ক্যাফেইন, সুগার, কৃত্রিম উপাদানবর্জিত প্রোডাক্ট বেছে নিন। ৪) জল পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করুন ও নিয়মিত কিডনি টেস্ট করান।
advertisement
সবশেষে, তিনি বলেন, কিডনির সমস্যা প্রথমদিকে কোনও লক্ষণ না-ও দেখাতে পারে। তাই এখনই সচেতন হওয়াই ভবিষ্যতে বড় সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। পাশাপাশি ডায়েট সাপ্লিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে আরও স্বচ্ছতা, থার্ড-পার্টি টেস্টিং ও মান নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছে।
advertisement