Kalmi Saak Benefits: বর্ষায় আঁটি আঁটি খান ধন্বন্তরি এই 'শাক'...! হাড়ের যত্নে 'ওষুধ' সমান, লিভারের অসুখে 'যম', গুণের রাজা-মহারাজা, নাম শুনলেই ছুটবেন বাজার, গ্যারান্টি!
- Published by:Ananya Chakraborty
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
Kalmi Saak Benefits: একেবারে টনিকের মতো কাজ করে এই শাক; প্রতিদিন পাতে রাখলে শরীর হবে তরতাজা, সেই সঙ্গে বাড়বে চোখের জ্যোতিও
বর্ষার মরশুমে সুস্থ থাকার জন্য প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খাওয়া উচিত। তবে এই সময় কলমী শাক পাতে থাকলে শরীর থাকবে ঝরঝরে এবং রোগও আশপাশে ঘেঁষতে পারবে না। এমনিতে এখন দেশ জুড়ে বর্ষার মরশুমের দাপট দেখা যাচ্ছে। ফলে বাজারে প্রচুর পরিমাণ কলমী শাকও উঠেছে।
advertisement
এই শাককে আবার জল পালংও বলা হয়। আসলে কলমী শাকে অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান এবং ভিটামিন পাওয়া যায়। যা আমাদের নানা ধরনের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে।
advertisement
নিয়ামতপুরের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে কর্মরত গৃহবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞ ড. বিদ্যা গুপ্ত বলেন, কলমী শাক প্রচুর ঔষধি গুণে ভরপুর। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যার কারণে এই শাকটি রক্তাল্পতা নিরাময় করতে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে, খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে, দৃষ্টিশক্তি শক্তিশালী করার পাশাপাশি ত্বক সম্পর্কিত অনেক সমস্যার সমাধানে কলমী শাক দারুণ উপকারী।
advertisement
ড. বিদ্যা গুপ্ত জানান যে, কলমী শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। আয়রনের কারণে এটি রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করে। ফলে এই শাক মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী। আবার যাঁরা চোখের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্যও এই কলমী শাক কোনও আশীর্বাদের চেয়ে কম কিছু নয়।
advertisement
কারণ এই শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ এবং ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। যা দৃষ্টিশক্তি শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সহায়ক। শুধু তা-ই নয়, রোজকার খাদ্যতালিকায় কলমী শাক রাখা হলে রাতকানা রোগও দূর হয়।
advertisement
আজকাল ওজন বৃদ্ধি একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। সেক্ষেত্রেও কিন্তু মুশকিল আসান এই কলমী শাকই। আসলে এই শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় তা পরিপাক তন্ত্রকে শক্তিশালী করে। সেই সঙ্গে ফাইবার বিপাকের হারও অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। যা ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়।
advertisement
এছাড়াও কলমী শাক লিভার ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। অর্থাৎ এই শাক আমাদের লিভার থেকে ময়লা অপসারণে সহায়ক হয়ে ওঠে। আবার কলমী শাকে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লিভারের উৎসেচকগুলিকে সক্রিয় করে তোলে। যার কারণে লিভার সুস্থ থাকে।
advertisement
ড. বিদ্যা গুপ্ত আরও জানান যে, কলমী শাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় তা ফ্রি র‍্যাডিক্যালের কারণে সৃষ্ট সমস্যা দূর করে। সেই সঙ্গে এটি ত্বকের জন্যও উপযোগী। নিয়মিত এটি সেবন করলে ত্বকে জেল্লা আসে, আর দূর হয় বলিরেখাও। আবার এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকাংশে বেড়ে যায়। এছাড়া এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও খুবই উপকারী।