মিথ এবং ভুল ধারণার কারণে সময়ে রোগ নির্ণয় হচ্ছে না, চিকিৎসাতেও দেরি! অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের ভুল ধারণাগুলি জানালেন বিশেষজ্ঞ

Last Updated:
অ্যাজমা বা হাঁপানি হল ক্রনিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ বা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ। মানসিক চাপ বা স্ট্রেস উপসর্গকে গুরুতর করে তুলতে পারে। এটা মানসিক অথবা মেন্টাল অবস্থা না-ও হতে পারে।
1/8
অ্যাজমা বা হাঁপানি হল একটি ক্রনিক শ্বাসজনিত অবস্থা। যা শ্বাসনালীর পথ সংকীর্ণ করে দেয় এবং প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন হয়। যার জেরে হুইজিং, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যদিও এই অবস্থাটি ওষুধের দ্বারা কার্যকর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ভারতে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন মানুষ এই হাঁপানি রোগে ভোগেন। যা সারা বিশ্বে ১৩ শতাংশ। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে একাধিক মিথ এবং ভুল ধারণার কারণে সময়ে রোগ নির্ণয় করা যায় না। ফলে চিকিৎসাতেও দেরি হয়ে যায়। আর সবথেকে বড় কথা হল, ভারতে ৭০ শতাংশ অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ নির্ণয় করা হয়ে ওঠে না। যা রোগীর জীবনের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করছেন কে. জে সোমাইয়া কলেজ অফ নার্সিংয়ের লেকচারার জোভিতা অ্যানি অ্যালেক্স।
অ্যাজমা বা হাঁপানি হল একটি ক্রনিক শ্বাসজনিত অবস্থা। যা শ্বাসনালীর পথ সংকীর্ণ করে দেয় এবং প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন হয়। যার জেরে হুইজিং, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যদিও এই অবস্থাটি ওষুধের দ্বারা কার্যকর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ভারতে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন মানুষ এই হাঁপানি রোগে ভোগেন। যা সারা বিশ্বে ১৩ শতাংশ। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে একাধিক মিথ এবং ভুল ধারণার কারণে সময়ে রোগ নির্ণয় করা যায় না। ফলে চিকিৎসাতেও দেরি হয়ে যায়। আর সবথেকে বড় কথা হল, ভারতে ৭০ শতাংশ অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ নির্ণয় করা হয়ে ওঠে না। যা রোগীর জীবনের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করছেন কে. জে সোমাইয়া কলেজ অফ নার্সিংয়ের লেকচারার জোভিতা অ্যানি অ্যালেক্স।
advertisement
2/8
মিথ: শুধুমাত্র বাচ্চাদের মধ্যেই অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ দেখা যায়।সত্য: যে কোনও বয়সে অ্যাজমা হতে পারে। দূষণ, অ্যালার্জেন অথবা পেশাগত কারণে বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অ্যাজমা হতে পারে।
মিথ: শুধুমাত্র বাচ্চাদের মধ্যেই অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ দেখা যায়। সত্য: যে কোনও বয়সে অ্যাজমা হতে পারে। দূষণ, অ্যালার্জেন অথবা পেশাগত কারণে বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অ্যাজমা হতে পারে।
advertisement
3/8
মিথ: ইনহেলার ক্ষতিকর এবং তা আসক্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে।সত্য: ডাক্তারদের প্রেসক্রাইব করা ইনহেলার কিন্তু নিরাপদ এবং নন-অ্যাডিক্টিভ। বেশিরভাগ ওষুধ যাতে ফুসফুসে পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করার জন্য এগুলিকে একটি স্পেসারের সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত।
মিথ: ইনহেলার ক্ষতিকর এবং তা আসক্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। সত্য: ডাক্তারদের প্রেসক্রাইব করা ইনহেলার কিন্তু নিরাপদ এবং নন-অ্যাডিক্টিভ। বেশিরভাগ ওষুধ যাতে ফুসফুসে পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করার জন্য এগুলিকে একটি স্পেসারের সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত।
advertisement
4/8
মিথ: অ্যাজমা হল সাইকোলজিক্যাল অবস্থা।সত্য: অ্যাজমা বা হাঁপানি হল ক্রনিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ বা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ। মানসিক চাপ বা স্ট্রেস উপসর্গকে গুরুতর করে তুলতে পারে। এটা মানসিক অথবা মেন্টাল অবস্থা না-ও হতে পারে।
মিথ: অ্যাজমা হল সাইকোলজিক্যাল অবস্থা। সত্য: অ্যাজমা বা হাঁপানি হল ক্রনিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ বা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ। মানসিক চাপ বা স্ট্রেস উপসর্গকে গুরুতর করে তুলতে পারে। এটা মানসিক অথবা মেন্টাল অবস্থা না-ও হতে পারে।
advertisement
5/8
মিথ: সঠিক খাদ্যাভ্যাস হাঁপানি সারিয়ে দিতে পারে।সত্য: ব্যালেন্সড ডায়েট ইমিউনিটি বাড়িয়ে দিতে পারে। আর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যা অ্যাজমার অ্যাটাক বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও ইনহেলড কর্টিকোস্টেরয়েড এবং ব্রঙ্কোডিলেটরস চিকিৎসার ভাল মানদণ্ড।
মিথ: সঠিক খাদ্যাভ্যাস হাঁপানি সারিয়ে দিতে পারে। সত্য: ব্যালেন্সড ডায়েট ইমিউনিটি বাড়িয়ে দিতে পারে। আর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যা অ্যাজমার অ্যাটাক বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও ইনহেলড কর্টিকোস্টেরয়েড এবং ব্রঙ্কোডিলেটরস চিকিৎসার ভাল মানদণ্ড।
advertisement
6/8
মিথ: অ্যাজমা অ্যাটাক আচমকাই হয় এবং তা এড়িয়ে চলা যায় না।সত্য: সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে অ্যাজমার অ্যাটাক প্রতিরোধ করা সম্ভব। সেই সঙ্গে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। আর নিজের ট্রিগারগুলি জানা থাকলে তো আরও ভাল।
মিথ: অ্যাজমা অ্যাটাক আচমকাই হয় এবং তা এড়িয়ে চলা যায় না। সত্য: সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে অ্যাজমার অ্যাটাক প্রতিরোধ করা সম্ভব। সেই সঙ্গে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। আর নিজের ট্রিগারগুলি জানা থাকলে তো আরও ভাল।
advertisement
7/8
মিথ: যাঁদের অ্যাজমা বা হাঁপানি রয়েছে, তাঁদের ব্যায়াম করা উচিত নয়।সত্য: সঠিক অ্যাজমা ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান মেনে চললে এক্সারসাইজ উপযোগী হয়ে উঠতে পারে। বিশ্ববরেণ্য ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহ্যামও অ্যাজমায় আক্রান্ত। অথচ তিনিই খেলাধূলায় দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছেন।
মিথ: যাঁদের অ্যাজমা বা হাঁপানি রয়েছে, তাঁদের ব্যায়াম করা উচিত নয়। সত্য: সঠিক অ্যাজমা ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান মেনে চললে এক্সারসাইজ উপযোগী হয়ে উঠতে পারে। বিশ্ববরেণ্য ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহ্যামও অ্যাজমায় আক্রান্ত। অথচ তিনিই খেলাধূলায় দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছেন।
advertisement
8/8
মিথ: অ্যাজমা বা হাঁপানি ছোঁয়াচে।সত্য: এটা একেবারেই ছোঁয়াচে বা সংক্রামক নয়। একজনের দেহ থেকে কখনওই এই রোগ অন্যজনের দেহে সংক্রমিত হতে পারে না।
মিথ: অ্যাজমা বা হাঁপানি ছোঁয়াচে। সত্য: এটা একেবারেই ছোঁয়াচে বা সংক্রামক নয়। একজনের দেহ থেকে কখনওই এই রোগ অন্যজনের দেহে সংক্রমিত হতে পারে না।মিথ: অ্যাজমা বা হাঁপানি ছোঁয়াচে। সত্য: এটা একেবারেই ছোঁয়াচে বা সংক্রামক নয়। একজনের দেহ থেকে কখনওই এই রোগ অন্যজনের দেহে সংক্রমিত হতে পারে না।
advertisement
advertisement
advertisement