Kidney Disease: কিডনির পাথর গলাতে ঘনঘন বিয়ার খাচ্ছেন? শরীরের ক্ষতি হচ্ছে না তো? জেনে নিন কী বলছেন চিকিৎসক
- Published by:Riya Das
- news18 bangla
Last Updated:
Kidney Disease: চিকিৎসকরা কখনওই রোগীদের কিডনিতে পাথর হলে বিয়ার খাওয়ার পরামর্শ দেন না। এখনও পর্যন্ত এমন কোনও গবেষণা সামনে আসেনি যাতে প্রমাণিত হয়েছে, যে বিয়ার খেলে কিডনির পাথর বেরিয়ে যায়।
advertisement
যখন ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থগুলি আমাদের কিডনিতে জমা হয় এবং বাইরে আসতে সক্ষম হয় না, তখন সেখান থেকেই পাথর হয়ে যায়। কিডনিতে পাথরের সমস্যা বর্তমানে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপুল সংখ্যক যুবক এই সমস্যার শিকার হচ্ছে। কিডনিতে পাথরের কারণে মানুষকে প্রচণ্ড ব্যথার সম্মুখীন হতে হয় এবং এর ফলে প্রস্রাবের সমস্যা, সংক্রমণ ও কিডনি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
advertisement
স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতাল, নিউ দিল্লির ইউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা.অমরেন্দ্র পাঠকের মতে, উচ্চ প্রোটিন এবং উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান না করলে কিডনিতে পাথরের সমস্যা হতে পারে। তবে কিডনিতে পাথর হওয়ার সঠিক কারণ মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে জানা যায়। বেশিরভাগ মানুষের কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ জানা নেই।
advertisement
ডা. অমরেন্দ্র পাঠক বলেন, কিডনির পাথরের আকার ছোট হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেলে তা প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। এই কারণেই কিডনিতে পাথরের রোগীদের প্রচুর জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা কখনওই রোগীদের কিডনিতে পাথর হলে বিয়ার খাওয়ার পরামর্শ দেন না। এখনও পর্যন্ত এমন কোনও গবেষণা সামনে আসেনি যাতে প্রমাণিত হয়েছে, যে বিয়ার খেলে কিডনির পাথর বেরিয়ে যায়।
advertisement
চিকিৎসকের মতে, কিডনি পাথর হলে সেই রোগীদের বিয়ার খাওয়া উচিত নয়। বিয়ার পান করলে বারবার প্রস্রাব হয় এবং বারবার প্রস্রাবের হলেই মানুষ মনে করে পাথর বেরিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল। যদি কোনও ব্যক্তির কিডনিতে পাথর থাকে, সেক্ষেত্রে বিয়ার পান করলে ঘনঘন প্রস্রাব হয় এবং কিডনি ফুলে যায়। এমনকী হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হতে পারে।
advertisement
কিডনিতে পাথর হলে লক্ষণগুলো সবসময় বোঝা যায় না। অনেক সময় মানুষ টেরও পায় না এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে পাথর বেরিয়ে যায়। কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গগুলো হল- কোমরে ব্যথা, পাকস্থলীর দুপাশে বা উভয় পাশে ব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত, বমি বমি ভাব, জ্বর, ঠাণ্ডা, দুর্বলতা ও ক্লান্তি। এই লক্ষণগুলো দেখলেই চিকিঞসকের পরামর্শ নেবেন৷