Human Flesh Eating Dal: পেটে গেলেই কুরে কুরে 'মানুষের মাংস খায়' এই ডাল! খেলেই ঝাঁঝরা শরীর? চরম ক্ষতিতে দফারফা সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের? জানুন
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- news18 bangla
Last Updated:
Human Flesh Eating Dal: প্রায় ৪,০০০ বছর আগে বর্তমান কর্নাটকে এর উৎপত্তি বলে বিশ্বাস করা হয়৷ প্রাচীন আয়ুর্বেদিক এবং বৌদ্ধ গ্রন্থে এর উল্লেখ ভারতীয় সংস্কৃতিতে এর দীর্ঘস্থায়ী তাৎপর্য তুলে ধরে।
সত্যিই কি এমন কোনও ডাল আছে যা মানুষের মাংস খায়? ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (IAS) এর ইন্টারভিউয়ে একবার জিজ্ঞাসা করা হয় এই কৌতূহলোদ্দীপক প্রশ্নটি উদ্বেগজনক শোনাতে পারে। তবে, এই ডাল তার ব্যতিক্রমী পুষ্টিগুণ এবং হজম ক্ষমতার জন্যও বিখ্যাত, যা শিশু থেকে রোগী পর্যন্ত সকল বয়সের মানুষের জন্য এটি একটি অপরিহার্য খাবার। তাহলে কীভাবে একটি ডাল পুষ্টিকর এবং মাংস ভক্ষণকারী উভয়ই হতে পারে?
advertisement
যে ডালের কথা বলা হচ্ছে তা আর কেউ নয়, এটি পরিচিত সবুজ মুগ ডাল, যা অনেক পরিবারের প্রধান খাদ্য এবং পুষ্টির ভাণ্ডার। এর রহস্য লুকিয়ে আছে এর অনন্য গঠনে। সবুজ মুগ ডালে 'প্রোটিওলাইটিক এনজাইম' নামক বিশেষ প্রোটিন থাকে, যা হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই এনজাইমগুলি ময়লা পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে, আমাদের শরীর থেকে অমেধ্য এবং 'নোংরা মাংস' দূর করে। বলছেন পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা
advertisement
তবে 'মানুষের মাংস খায়' এই বাক্যাংশটি একটি রূপক। এটি আক্ষরিক অর্থে মাংস খায় না। বরং, এটি মুগ ডালের শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ, বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত চর্বি দূর করার অসাধারণ ক্ষমতাকে বোঝায়। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং সামগ্রিক হজম স্বাস্থ্যের জন্য এটিকে একটি মূল্যবান সহযোগী করে তোলে।
advertisement
যারা নিরামিষভোজী, তাদের জন্য মুগ ডাল এক আশীর্বাদ। এর সমৃদ্ধ প্রোটিন এটিকে প্রাণিজ প্রোটিনের উৎসের জন্য একটি চমৎকার বিকল্প করে তোলে। সবুজ মুগ ডালে উচ্চ ফাইবার উপাদান পেট ভরা অনুভূতি জাগায়, অতিরিক্ত খাওয়া কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এর পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা এটিকে সকল বয়সের মানুষের জন্য একটি আদর্শ খাবার করে তোলে।
advertisement
সহস্রাব্দ ধরে ভারতে চাষ করা মুগ ডালের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। প্রায় ৪,০০০ বছর আগে বর্তমান কর্নাটকে এর উৎপত্তি বলে বিশ্বাস করা হয়৷ প্রাচীন আয়ুর্বেদিক এবং বৌদ্ধ গ্রন্থে এর উল্লেখ ভারতীয় সংস্কৃতিতে এর দীর্ঘস্থায়ী তাৎপর্য তুলে ধরে। মুগ ডালের চাষ অবশেষে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চিনে ছড়িয়ে পড়ে, বিভিন্ন রান্নায় একটি প্রধান উপাদান হিসেবে এর স্থানকে সুদৃঢ় করে তোলে।
advertisement
advertisement