Human Urine: মূত্রের রং ফ্যাকাশে থেকে গাঢ় হলুদ হয়ে গিয়েছে? কিংবা ঘোলাটে মূত্র? সাবধান! কোন রোগের ইঙ্গিত দিচ্ছে শরীর? পড়ুন

Last Updated:
শরীরের বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত জল মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বার হয়। কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে মূত্রের আকারে সংগ্রহ করে, যা শরীরের তরল ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে
1/6
শরীরের বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত জল মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বার হয়। কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে মূত্রের আকারে সংগ্রহ করে, যা শরীরের তরল ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
শরীরের বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত জল মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বার হয়। কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে মূত্রের আকারে সংগ্রহ করে, যা শরীরের তরল ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
advertisement
2/6
শরীরকে পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মূত্র। সাধারণত এটি হলুদ রঙের হয়। তবে কখনও কখনও মূত্র গাঢ় হলুদ দেখাতে পারে, এবং কিছু ক্ষেত্রে লালও হয়ে যেতে পারে। এবার প্রশ্ন হল, মূত্রের স্বাভাবিক রং কী? কেন এটি হলুদ হয়? মূত্র কখন গাঢ় হলুদ কিংবা লালচে আকার ধারণ করে? জানাচ্ছেন দিল্লির 'স্যার গঙ্গারাম হাসপাতাল'-এর ইউরোলজি বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান ডঃ অমরেন্দ্র পাঠক
শরীরকে পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মূত্র। সাধারণত এটি হলুদ রঙের হয়। তবে কখনও কখনও মূত্র গাঢ় হলুদ দেখাতে পারে, এবং কিছু ক্ষেত্রে লালও হয়ে যেতে পারে। এবার প্রশ্ন হল, মূত্রের স্বাভাবিক রং কী? কেন এটি হলুদ হয়? মূত্র কখন গাঢ় হলুদ কিংবা লালচে আকার ধারণ করে? জানাচ্ছেন দিল্লির 'স্যার গঙ্গারাম হাসপাতাল'-এর ইউরোলজি বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান ডঃ অমরেন্দ্র পাঠক
advertisement
3/6
মানুষের মূত্রে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জল থাকে। এর পাশাপাশি এতে ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, ইউরিক অ্যাসিড, ফসফরিক অ্যাসিড এবং জলে দ্রবনীয় বিলিরুবিন-সহ বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ থাকে। এই সমস্ত উপাদান একসঙ্গে মিশলে মূত্রের রং হালকা হলুদ হয়। মূত্রের স্বাভাবিক রঙ হল ফ্যাকাশে হলুদ। তবে শরীর যদি জলশূন্য (ডিহাইড্রেটেড) হয়ে যায়, তাহলে মূত্র ঘন হয়ে যায় এবং এর রং আরও গাঢ় দেখাতে পারে।
মানুষের মূত্রে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জল থাকে। এর পাশাপাশি এতে ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, ইউরিক অ্যাসিড, ফসফরিক অ্যাসিড এবং জলে দ্রবনীয় বিলিরুবিন-সহ বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ থাকে। এই সমস্ত উপাদান একসঙ্গে মিশলে মূত্রের রং হালকা হলুদ হয়। মূত্রের স্বাভাবিক রঙ হল ফ্যাকাশে হলুদ। তবে শরীর যদি জলশূন্য (ডিহাইড্রেটেড) হয়ে যায়, তাহলে মূত্র ঘন হয়ে যায় এবং এর রং আরও গাঢ় দেখাতে পারে।
advertisement
4/6
ডঃ অমরেন্দ্র পাঠক জানান, যখন শরীরের লাল রক্তকণিকা ভেঙে যায়, তখন বিলিরুবিন-সহ কয়েকটি বাইপ্রডাক্ট তৈরি হয়। এই বিলিরুবিনের একটি অংশ মূত্রের মাধ্যমে নির্গত হয়, আর বাকি অংশ পিত্তনালির মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। মূত্রের রং হলুদ হওয়ার নেপথ্যে বিলিরুবিনেরও ভূমিকা আছে। এবার যদি কেউ দীর্ঘ সময় ধরে মূত্রত্যাগ না করে, তাহলে মূত্রে থাকা ফসফেট স্ফটিকগুলো জমাট বেঁধে যেতে পারে, ফলে মূত্র ঘোলা দেখাতে পারে।

ডঃ অমরেন্দ্র পাঠক জানান, যখন শরীরের লাল রক্তকণিকা ভেঙে যায়, তখন বিলিরুবিন-সহ কয়েকটি বাইপ্রডাক্ট তৈরি হয়। এই বিলিরুবিনের একটি অংশ মূত্রের মাধ্যমে নির্গত হয়, আর বাকি অংশ পিত্তনালির মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। মূত্রের রং হলুদ হওয়ার নেপথ্যে বিলিরুবিনেরও ভূমিকা আছে। এবার যদি কেউ দীর্ঘ সময় ধরে মূত্রত্যাগ না করে, তাহলে মূত্রে থাকা ফসফেট স্ফটিকগুলো জমাট বেঁধে যেতে পারে, ফলে মূত্র ঘোলা দেখাতে পারে।
advertisement
5/6
মূত্র লালচে রং-এর অর্থ হল, মূত্রে রক্ত আছে। গাঢ় হলুদ রঙের মূত্রের মূল কারণ হল ডিহাইড্রেশন। শরীরে জলের ঘাটতি হলে মূত্র আরও ঘন হয়ে যেতে পারে, ফলে রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। বেশি পরিমাণে জল খেলে এই সমস্যা মিটে যায়।

মূত্র লালচে রং-এর অর্থ হল, মূত্রে রক্ত আছে। গাঢ় হলুদ রঙের মূত্রের মূল কারণ হল ডিহাইড্রেশন। শরীরে জলের ঘাটতি হলে মূত্র আরও ঘন হয়ে যেতে পারে, ফলে রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। বেশি পরিমাণে জল খেলে এই সমস্যা মিটে যায়।
advertisement
6/6
যদি পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পরও মূত্রের রঙ গাঢ় হলুদই থাকে, তাহলে এটি জন্ডিসের লক্ষণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দীর্ঘ সময় ধরে মূত্রের রং গাঢ় থাকলে তা শরীরে কোনও রোগের লক্ষণ।
যদি পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পরও মূত্রের রঙ গাঢ় হলুদই থাকে, তাহলে এটি জন্ডিসের লক্ষণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দীর্ঘ সময় ধরে মূত্রের রং গাঢ় থাকলে তা শরীরে কোনও রোগের লক্ষণ।
advertisement
advertisement
advertisement