ভালো ফ্যাট পেলেই সুন্দর ত্বক! ঘি ও মাখনেই লুকিয়ে আছে শীতের শুষ্কতা রোধের রহস্য, জানুন কী ভাবে

বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ ঘি ও মাখন শীতের ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ভেতর থেকে এনে দেয় নরম, উজ্জ্বল ত্বক। কী ভাবে? জেনে নিন বিশদে। (Image: AI generated) 

তাপমাত্রা কমে গেলে আর বাতাসে শুষ্কতা বাড়লে ত্বকই প্রথম আঘাতটা সহ্য করে — প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারায়, টানটান লাগে, আর উজ্জ্বলতা মিলিয়ে যায়। অনেকেই তখন ময়েশ্চারাইজার আর সিরামে ভরসা রাখেন, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, আসল পুষ্টি শুরু হয় শরীরের ভেতর থেকে। আর আশ্চর্যের বিষয়, সেই সমাধান হয়তো লুকিয়ে আছে তোমার রান্নাঘরেই। (Image: AI generated) 

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতীয় ঘরে ঘরে ঘি ও মাখন শুধু রান্নার উপকরণ নয়, বরং ত্বক ও শরীরের যত্নের এক প্রাকৃতিক রসায়ন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক সময় “লো-ফ্যাট” ডায়েটের যুগে যেগুলোকে খারাপ চোখে দেখা হতো, আজ সেই ঐতিহ্যবাহী দুগ্ধজাত ফ্যাটই বিজ্ঞানসম্মতভাবে ফিরে এসেছে “স্কিন-লাভিং সুপারফুড” হিসেবে। (Image: AI generated) 

স্টার্লিং অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (নোভা ডেইরি)-এর ডিরেক্টর রাভিন সালুজা বলেন, “শীতকালে আমাদের ত্বক অনেক দ্রুত আর্দ্রতা হারায়, কিন্তু আসল হাইড্রেশন শুরু হয় শরীরের ভিতর থেকে। ঘি ও মাখনের মতো ঐতিহ্যবাহী ফ্যাট, যেগুলো আজ অনেকেই এড়িয়ে চলেন, আসলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন A, D ও E-তে ভরপুর। এই পুষ্টিগুলো ত্বকের প্রতিরোধক স্তরকে মজবুত করে এবং ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। প্রতিদিন খাবারে এক চামচ ঘি যোগ করলেই ত্বক অনেক নরম ও কম নিস্তেজ থাকে।” (Image: AI generated) 

শুধু পুষ্টিগুণই নয়, ঘি ও মাখনের জৈবিক ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ— এগুলো ত্বকের প্রাকৃতিক হাইড্রেশন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে। ড. দেবজ্যোতি ধর, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ডিরেক্টর, Leucine Rich Bio (BugSpeaks), বলেন, “মানুষ সাধারণত ত্বকের শুষ্কতাকে বাহ্যিক সমস্যা মনে করে, কিন্তু বাস্তবে এটি এক জৈবিক প্রক্রিয়া যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘির মতো ফ্যাট শরীরের মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য বজায় রাখতে, প্রদাহ কমাতে এবং পুষ্টি শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের এই অভ্যন্তরীণ ভারসাম্যই বাইরের ত্বকে প্রতিফলিত হয়— উজ্জ্বলতা ও টেক্সচারে উন্নতি আনে, বিশেষত শীতকালে।” (Image: AI generated) 

বিজ্ঞানের ভাষায়ও এই তত্ত্বের মজবুত ভিত্তি রয়েছে। ভিটামিন A ও E শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের ক্ষতি মেরামত করে; ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং প্রদাহ কমায়। ঘিতে থাকা বিউটারিক অ্যাসিড, এক ধরনের শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড, অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে— ফলে ভেতর থেকে ত্বকও থাকে সুস্থ ও দীপ্তিময়। (Image: AI generated)