সারা দিন কতটা জল খাওয়া দরকার? আপনার পরিমাপটা কীভাবে বুঝবেন জেনে নিন
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
How much water should you drink daily: তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, হজম, জয়েন্ট ঠিক রাখা, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং শরীরের প্রতিটি কোষের জন্য জল অপরিহার্য। কিন্তু রোজ কতটা জল খাওয়া উচিত এর কোনও সাধারণ পরিমাপ হয় না।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, হজম, জয়েন্ট ঠিক রাখা, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং শরীরের প্রতিটি কোষের জন্য জল অপরিহার্য। কিন্তু রোজ কতটা জল খাওয়া উচিত এর কোনও সাধারণ পরিমাপ হয় না। এমনিতে বলা হয় যে দিনে আটবার ৮ আউন্স বা এক গ্লাস করে জল খাওয়া উচিত, ওটা মোটামুটি ২ লিটারের কাছাকাছি যায়। হিসেব মনে রাখা সহজ, খেয়ে নেওয়াও।(Representative Image)
advertisement
অনেক স্বাস্থ্য সংস্থা মহিলাদের প্রতিদিন প্রায় ২.৭ লিটার এবং পুরুষদের প্রতিদিন ৩.৭ লিটার জল খাওয়ার পরামর্শ দেয়, এর মধ্যে সমস্ত পানীয় এবং খাবার থেকে আসা মোট জলের পরিমাণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মোট জল বলতে তাহলে কী বুঝতে হবে? - সাধারণ পানীয় জল এবং অন্যান্য পানীয় (চা, কফি, দুধ, জুস)- বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় (ফল, শাকসবজি, স্যুপ) থেকে সাধারণত শরীরে ২০-৩০% জল যায়। (Representative Image)
advertisement
এই দুই মিলিয়েই মোট জলের হিসেব, অতএব, সেই মতো হিসেব করে জল খেতে হবে। তবে, কখনও কখনও শরীরে জলের চাহিদা বেড়ে যেতে পারে, বেশি জল খেতে হতে পারে, যেমন- শারীরিক কার্যকলাপ: বেশি ঘাম হলে শরীর জল টানবেই। এ সব ক্ষেত্রে প্রতি ৩০-৬০ মিনিট মাঝারি ব্যায়ামে ৩৫০-৭০০ মিলি (প্রায় ১-২ কাপ) জল খেতে হবে, তীব্র গরমে আরও বেশি খাওয়া দরকার।গরম বা আর্দ্র আবহাওয়া: স্বাভাবিক ভাবেই ঘাম বেশি হবে; সেই অনুসারে তরল গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। (Image: AI)
advertisement
advertisement
উচ্চ লবণ, উচ্চ প্রোটিন, উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার: এগুলোও শরীরে জলের চাহিদা সামান্য পরিমাণে বাড়িয়ে দিতে পারে।শরীরে জলশূন্যতার লক্ষণ: - গাঢ় হলুদ প্রস্রাব অথবা প্রস্রাবের পরিমাণ অনেক কমে যাওয়া- শুষ্ক মুখ, শুষ্ক ত্বক, অথবা ফাটা ঠোঁট- মাথাব্যথা, হালকা মাথাব্যথা, অথবা ক্লান্তি- ওজন হ্রাস, মাথা ঘোরা, দ্রুত হৃদস্পন্দন- শিশুদের ক্ষেত্রে ডায়াপার কম ভেজা, অলসতা, ঢুলু-ঢুলু চোখ৷ (Representative Image)
advertisement
তাহলে সারা দিন ধরে কী পরিমাণ খেলে শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখা যাবে? সকাল: ঘুম থেকে ওঠার পর ১ গ্লাস (২০০-৩০০ মিলি)দুপুর: বোতল থেকে চুমুক দিয়ে দিয়ে (৩০০-৪০০ মিলি)।দুপুরের খাবারের সময়ে: খাবারের সঙ্গে ১ গ্লাস (২০০-৩০০ মিলি) + হাইড্রেটিং খাবার।বিকেল: বোতল থেকে চুমুক দিয়ে দিয়ে (৩০০-৪০০ মিলি)।ব্যায়ামের আগে/সময়ে/পরবর্তীতে: সময়কাল অনুসারে ২০০-৫০০ মিলি।সন্ধ্যা: রাতের খাবারের সঙ্গে ১ গ্লাস; ঘুমানোর ঠিক আগে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভাল। (Representative Image)
advertisement