High Uric Acid Control Dry Fruits: গাঁটে গাঁটে অসহ্য ব্যথা, যন্ত্রণায় মুচড়ে যায় শরীর! এই ৫ ড্রাই ফ্রুটসে জব্দ ইউরিক অ্যাসিড, জানুন...

উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড শরীরে জমে গাউট, কিডনিতে পাথর এবং জয়েন্ট ইনফ্লেমেশন সৃষ্টি করতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড হল পিউরিন বিপাক প্রক্রিয়ার উপজাত, যা অতিরিক্ত পরিমাণে জমলে জয়েন্টে স্ফটিকের মতো রূপ নেয় এবং ব্যথা ও ফোলা সৃষ্টি করে।

যদিও ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে ওষুধ রয়েছে, তবে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করাও এটি নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

কাঠবাদাম (Almonds) কাঠবাদামে ফাইবার, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে, যা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। এটি কম পিউরিনযুক্ত এবং এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ইউরিক অ্যাসিড জমা হওয়া প্রতিরোধ করে।

এছাড়া কাঠবাদাম কিডনির কার্যকারিতা ভালো রাখে, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে।

পরামর্শ: প্রতিদিন এক মুঠো ভেজানো কাঠবাদাম খান, যাতে পুষ্টি ভালোভাবে শোষিত হয়।

আখরোট (Walnuts) আখরোট ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস, যা প্রদাহ কমায়। এটি জয়েন্টের ইনফ্লেমেশন এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, যা উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের কারণে হতে পারে। আখরোট কম পিউরিনযুক্ত হওয়ায় গাউট রোগীদের জন্য এটি নিরাপদ।

পরামর্শ: আখরোট সালাদ, স্মুদি বা স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন।

কাজু (Cashews) কাজু ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য দারুণ উপকারী। এতে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা কিডনির কার্যকারিতা বাড়িয়ে ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে।

পরামর্শ: অতিরিক্ত কাজু খেলে ওজন বাড়তে পারে, যা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই পরিমাণ মতো খান।

পেস্তা (Pistachios) পিস্তা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারের শক্তিশালী উৎস। এটি শরীরের বিপাক প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং ইনফ্লেমেশন কমিয়ে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া পিস্তার ক্ষারধর্মী প্রকৃতি শরীরের pH ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে, যা ইউরিক অ্যাসিড স্ফটিক জমতে দেয় না।

পরামর্শ: বেশি উপকার পেতে আনসল্টেড ও কাঁচা পিস্তা খান।

কিসমিস (Raisins) কিসমিস ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর, কারণ এটি শরীরকে ক্ষারীয় করে তোলে। এটি শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড নির্গমন সহজ করে তোলে এবং কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায়।

পরামর্শ: প্রতিদিন এক মুঠো কিসমিস রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে হজম ও শোষণ ভালো হয়।

উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুষম খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত জলপান এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন জরুরি। এই শুকনো ফলগুলো খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং গাউটের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।