High Blood Sugar Control: ভাত ছেড়ে দিলে কি কমে সুগার? না ছাড়তে হয় চিনি.. কী বলছেন বিশেষজ্ঞেরা, জানুন মত
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
এর পাশাপাশি, ভাত কী পরিমাণে খাচ্ছেন, তার উপরেও এর খারাপ ফলাফল নির্ভর করে৷ ভাত খেলে ওজনও বাড়ে। তাছাড়া, কোনও রোগীর যদি ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকে, তাহলেও তাঁকে ভাত কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা৷
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
শ্রীবালাজি অ্যাকশন মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রধান পুষ্টিবিদ প্রিয়া ব্রহ্মা বলেছেন, এক মাস ভাত না খেলে শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ কমে যায়। এটি ওজন কমানোর জন্য কার্যকর হতে পারে। যেহেতু, ভাতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি, তাই ভাত না খেলে তা আমাদের শরীরে অতিরিক্ত শর্করা প্রবেশ করে না। স্পষ্টতই এতে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল হয়। চিনিও একেবারে ছেড়ে দেওয়াই ভাল৷ তবে, ভাল চালের ভাতে শর্করা ছাড়াও নানা ভিটামিন ও মিনারেল থাকে, ভাত খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিলে, শরীরে সেগুলির ঘাটতি হতে পারে৷
advertisement
advertisement
রিয়া দেশাই বলেন, ব্লাড সুগার কমানোর ক্ষেত্রে, ভাত খাওয়া ছেড়ে দেওয়া কার্যকরী হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে, পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ভাতের পরিপূরক কোনও খাবার বেছে নিতে হবে৷ তবে এক মাস ভাত না খেয়ে আবার যদি ভাত খেতে শুরু করে দেন আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা কিন্তু আবার আগের মতো হয়ে যাবে।
advertisement
সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ভাত খাওয়া ছেড়ে দেওয়া সঠিক সমাধান নয়। সঠিক উপায়ে নিয়ম মেনে এক বাটি ভাত খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না। অন্যদিকে, ভাত না খেলে আমাদের শরীরে ফাইবারের পরিমাণ কমে যায়। এতে আমাদের হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। এছাড়া, ভাতে থাকে ভিটামিন বি ও মিনারেল। তাই এর প্রভাব একেকজনের উপর একেক রকম। তাহলে এক মাস ভাত না খেলে কি আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে? পুষ্টিবিদ প্রিয়া ব্রহ্মা বলেন, ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়।
advertisement
প্রিয়া ব্রহ্মা বলেন, একমাস ভাত ছেড়ে দেওয়া সমস্যার সমাধান নয়৷ তবে, ভাত খাওয়ার পরিমাণ সীমিত করা উচিত। কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়ার জন্য কেউ খাদ্যতালিকা থেকে ভাত বাদ দিতেই পারেন৷ এটা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত৷ তবে এর পরিবর্তে অন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করা জরুরি। একটি সুষম খাদ্যের যেন প্রোটিন, ফাইবার এবং সব ধরনের পুষ্টি থাকে। যেমন, ফাইবারের জন্য প্রতিদিন স্যালাড খেতে পারেন। প্রোটিনের জন্য প্রতিদিন ডাল। কার্বোহাইড্রেটের জন্য ভাতও খাওয়া যেতে পারে তবে সীমিত পরিমাণে। তার মানে, আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান তবে স্বাস্থ্যকর ডায়েট প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর খাবারে সবুজ শাকসবজি, ডাল, গোটা শস্য ইত্যাদি থাকবে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাজা খাবার, প্যাকেটজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, পিৎজা-বার্গার, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি বাদ দিতে হবে।
advertisement