Hetampur Rajbari: বীরভূমে লুকিয়ে আছে আরও এক ‘হাজার দুয়ারী’! নজরুলের আত্মগোপনের ঠিকানা, কীভাবে যাবেন হেতমপুর রাজবাড়ী?

Last Updated:
মুর্শিদাবাদের মতো পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে দ্বিতীয় এক ‘হাজার দুয়ারী’। বীরভূমের হেতমপুর রাজবাড়ী বা রঞ্জন প্যালেস রাজকীয় ঐতিহ্য ও ইতিহাসের সাক্ষী।
1/5
 মুর্শিদাবাদের হাজার দুয়ারীর নাম আমরা সবাই জানি। সেই ঐতিহাসিক প্রাসাদ, যার প্রতিটি ইট যেন মুঘল ও নবাব আমলের গল্প বলে। কিন্তু আপনি কি জানেন, পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে আরেকটি হাজার দুয়ারী? অবাক লাগলেও সত্যি! বীরভূম জেলার হেতমপুরে রয়েছে রাজকীয় ঐতিহ্যে ভরা দ্বিতীয় এক ‘হাজার দুয়ারী’।
মুর্শিদাবাদের হাজার দুয়ারীর নাম আমরা সবাই জানি। সেই ঐতিহাসিক প্রাসাদ, যার প্রতিটি ইট যেন মুঘল ও নবাব আমলের গল্প বলে। কিন্তু আপনি কি জানেন, পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে আরেকটি হাজার দুয়ারী? অবাক লাগলেও সত্যি! বীরভূম জেলার হেতমপুরে রয়েছে রাজকীয় ঐতিহ্যে ভরা দ্বিতীয় এক ‘হাজার দুয়ারী’।
advertisement
2/5
হেতমপুরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পুত্র রাজা রামরঞ্জন চক্রবর্তী ১৯০৫ সালে নির্মাণ করেন এই বিশালাকৃতির রাজবাড়ীটি, যা পরিচিত
হেতমপুরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পুত্র রাজা রামরঞ্জন চক্রবর্তী ১৯০৫ সালে নির্মাণ করেন এই বিশালাকৃতির রাজবাড়ীটি, যা পরিচিত "রঞ্জন প্যালেস" নামেও। ১৮৭৪ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সময় রাজা রামরঞ্জন ব্রিটিশ সরকারকে নানা ভাবে সাহায্য করেছিলেন। (ছবি ও তথ্য: সুদীপ্ত গড়াই)
advertisement
3/5
সেই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৮৫ সালে তাঁকে ‘রাজা’ উপাধি দেওয়া হয়, পরে লর্ড লিটন তাঁকে ‘রাজা বাহাদুর’ এবং ১৯১২ সালে ‘মহারাজা’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তাঁর রাজসিক জীবনধারা এবং সমাজসেবার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র বাংলাজুড়ে।
সেই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৮৫ সালে তাঁকে ‘রাজা’ উপাধি দেওয়া হয়, পরে লর্ড লিটন তাঁকে ‘রাজা বাহাদুর’ এবং ১৯১২ সালে ‘মহারাজা’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তাঁর রাজসিক জীবনধারা এবং সমাজসেবার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র বাংলাজুড়ে।
advertisement
4/5
মুর্শিদাবাদের হাজার দুয়ারীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রামরঞ্জন নাকি হেতমপুরের প্রাসাদে একটি দরজা কম রাখেন। যাতে মুর্শিদাবাদের ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ থাকে। এই প্রাসাদের অগণিত দরজা, জানালা ও বারান্দা যেন অতীতের রাজকীয় জাঁকজমকের নীরব সাক্ষী। শোনা যায়, কবি কাজী নজরুল ইসলামও কিছুদিন আত্মগোপন করেছিলেন এখানে।
মুর্শিদাবাদের হাজার দুয়ারীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রামরঞ্জন নাকি হেতমপুরের প্রাসাদে একটি দরজা কম রাখেন। যাতে মুর্শিদাবাদের ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ থাকে। এই প্রাসাদের অগণিত দরজা, জানালা ও বারান্দা যেন অতীতের রাজকীয় জাঁকজমকের নীরব সাক্ষী। শোনা যায়, কবি কাজী নজরুল ইসলামও কিছুদিন আত্মগোপন করেছিলেন এখানে।
advertisement
5/5
কীভাবে পৌঁছাবেন? হাওড়া থেকে ট্রেনে দুবরাজপুর স্টেশন। সেখান থেকে অটো বা টোটো করে সহজেই পৌঁছে যেতে পারেন হেতমপুর রাজবাড়ীতে। রাজকীয় ঐতিহ্য, সিনেমার স্মৃতি, আর কবি নজরুলের ছোঁয়া, সব মিলিয়ে হেতমপুর রাজবাড়ী আজও বীরভূমের গর্ব ও ইতিহাসের অনন্য সাক্ষী। (ছবি ও তথ্য: সুদীপ্ত গড়াই)
কীভাবে পৌঁছাবেন? হাওড়া থেকে ট্রেনে দুবরাজপুর স্টেশন। সেখান থেকে অটো বা টোটো করে সহজেই পৌঁছে যেতে পারেন হেতমপুর রাজবাড়ীতে। রাজকীয় ঐতিহ্য, সিনেমার স্মৃতি, আর কবি নজরুলের ছোঁয়া, সব মিলিয়ে হেতমপুর রাজবাড়ী আজও বীরভূমের গর্ব ও ইতিহাসের অনন্য সাক্ষী। (ছবি ও তথ্য: সুদীপ্ত গড়াই)
advertisement
advertisement
advertisement