Heart Attack in Fit People: বাইরে থেকে ফিট, তবুও হার্ট অ্যাটাক! সুস্থ মানুষও সেফ নন, আছে হৃদরোগের ঝুঁকি, কেন জানুন...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Heart Attack in Fit People: অনেকেই নিয়মিত ব্যায়াম করেন ও বাইরে থেকে সুস্থ দেখান, তবুও হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। এর পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে একাধিক কারণ, কেন জানুন বিস্তারিত...
হৃদপিণ্ড মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি সারা শরীরে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করে। শারীরিক ফিটনেস ও ছিপছিপে গড়ন সাধারণত ভালো স্বাস্থ্য বোঝায় বলে ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এমন বহু ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে বাইরের দিক থেকে সুস্থদর্শন ও নিয়মিত ব্যায়াম করা মানুষও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
advertisement
advertisement
advertisement
ড. মিতেশ কুমার এফ, সিনিয়র কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট, ফর্টিস সিজি রোড (দিল্লি), জানিয়েছেন কিছু লুকানো কারণ— ➤ বংশগত ঝুঁকি: উচ্চ কোলেস্টেরল বা অল্প বয়সে হৃদরোগ হওয়ার প্রবণতা পরিবার থেকে আসতে পারে। ➤ চাপ ও স্ট্রেস: বাইরে থেকে ফিট মনে হলেও অনেকেই দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন, যা ধীরে ধীরে রক্তনালীতে ক্ষতি করে। ➤ উচ্চ রক্তচাপ: “নীরব ঘাতক” নামে পরিচিত এই সমস্যা বহু ফিট মানুষের মধ্যেও নিরবেই থেকে যায়।
advertisement
➤ অতিরিক্ত বা অনিয়ন্ত্রিত ব্যায়াম: হঠাৎ প্রচণ্ড ব্যায়াম করলে, বিশেষ করে ওয়ার্ম-আপ ছাড়া, হৃদপিণ্ডে অপ্রয়োজনীয় চাপ পড়ে। ➤ ভ্রান্ত স্বাস্থ্য সূচক: ছিপছিপে শরীর বা অ্যাবস থাকলেই যে ভেতরের স্বাস্থ‍্য ভালো, তা নয়। ➤ স্টেরয়েড বা সাপ্লিমেন্ট: অজানা উপাদানযুক্ত প্রোটিন পাউডার বা এনার্জি ড্রিঙ্কস ব্যবহারে অনিয়ন্ত্রিত হার্টবিট বা রক্তচাপ বেড়ে যায়।
advertisement
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সামগ্রিক পদক্ষেপ দরকার। শুধুমাত্র ব্যায়াম নয়, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল পরীক্ষা, পারিবারিক ইতিহাস জানা, ও সময়মতো চিকিৎসা জরুরি। প্রয়োজন পড়লে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন ভালভ প্রতিস্থাপন, কার্ডিয়াক রিসিঙ্ক্রোনাইজেশন থেরাপি (CRT), ও ভেন্ট্রিকুলার অ্যাসিস্ট ডিভাইস (VAD) ব্যবহারও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
advertisement
মনে রাখা দরকার, হৃদপিণ্ডের যত্ন মানেই শুধু ফিট থাকা নয়। ভেতরের অঙ্গের স্বাস্থ‍্য, জেনেটিক ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা, এবং সময়মতো মেডিক্যাল স্ক্রিনিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি বাইরে থেকে যতই ফিট মনে হন না কেন, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও সচেতনতা থাকলে আগামীদিনে হৃদপিণ্ডকে অনেক সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
advertisement
advertisement