Healthy Living: ওজন বাড়া নিয়ে মাথায় হাত, সঙ্গে বিস্তর অ্যাসিডিটি, রান্নাঘরের লুকিয়ে রামবাণ, নিয়মিত খেলেই মাখনের মতো গলবে মেদ

বাঙালির রান্নাঘরে থাকা মশালা শুধু যে রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করে তা নয় বিভিন্ন ধরনের মশলার নানা গুণে সমৃদ্ধ৷  জিরে এবং মৌরি, এই দুই মশলা ঔষধি গুণে ভরপুর। এগুলোর সেবন শরীরকে নানা ধরনের উপকার পৌঁছায়। আপনি এগুলি গরম জলের সঙ্গে খেতে পারেন, এতে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও এই দুই মশলার নানা গুণাবলী জানিয়েছেন এবং কীভাবে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায় তা জানিয়েছেন।

পেটের সমস্যার জন্য বরদান লোকাল ১৮ -র সঙ্গে কথোপকথনের সময় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক নন্দু প্রসাদ জানান যে জিরে এবং মৌরি, এই দুই মশলা ভারতীয় ঘরে মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই দুই মশলা ঔষধি গুণে ভরপুর। জিরে এবং মৌরি পেটের সমস্যার জন্য খুব উপকারি মনে করা হয়।  লোকেরা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য জিরা এবং সাঁফ ব্যবহার করে। আপনি চাইলে জিরে এবং মৌরির গুঁড়োও সরাসরি খেতে পারেন৷

রাতে নেওয়া উপকারী জিরে এবং মৌরি পাউডার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। এই দুটি গুঁড়ো আপনি রাতে গরম জলের সঙ্গে খেতে পারেন৷  রাতে গরম জলের সঙ্গে জিরে এবং মৌরির গুঁড়োর নেওয়া অনেক উপকার করে। তিনি জানিয়েছেন যে জিরে এবং মৌরির গুঁড়ো স্কিনের জন্য গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, ওজন কমানো এবং চোখের জন্য উপকারি।

এই সমস্ত সমস্যাগুলি দূর করে বৈদ্য নন্দু প্রসাদ জানান যে জিরে এবং মৌরি খেলে আয়ুর্বেদে অনেক স্বাস্থ্য উপকারের জন্য পরিচিত। রাতে ঘুমানোর আগে গরম জলের সঙ্গে এগুলি সেবন করলে এই সমস্যাগুলিতেও আরাম পাওয়া যায়।

গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আরাম: জিরে এবং মৌরি হজম ঠিক রাখে। এতে থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পেটের গ্যাস, অজীর্ণ এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

ওজন কমাতে সহায়ক: মৌরি এবং জিরে মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে, যা ওজন কমাতে সহায়ক। এগুলো শরীর থেকে টক্সিন বের করার কাজও করে। ত্বকের জন্য উপকারি: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ডিটক্সিফাইং গুণ ত্বককে পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

চোখের জন্য খুব উপকারি: মৌরিতে ভিটামিন A এবং জিরেতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা চোখের দৃষ্টি বাড়াতে এবং ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

কীভাবে খাবেন- এক চামচ জিরে এবং মৌরির পাউডার নিন, গরম জলের সঙ্গে রাতে ঘুমানোর আগে পান করুন। ভাল ফলাফলের জন্য এটি নিয়মিত সেবন করুন। যদি আপনার কোনও বিশেষ বা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তাহলে এটি আপনার দৈনন্দিন রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করার আগে কোনও আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।