EGG: ডিম খেতে দারুণ ভালবাসেন, কিন্তু সাদা অংশ না হলুদ কোনটা খাবেন, কোনটার গুণ বেশি

সকালের টিফিনে ডিমের পদ একটি চমৎকার খাবার। পুষ্টিগুণে ভরপুর এ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি প্রোটিন, ভিটামিন ও স্বাস্থ্যে ভরপুর। সাধারণত ব্রেকফাস্ট ডিম সেদ্ধ, হাফ বয়ে বা ওমলেট করে খাওয়া হয়। যেভাবেই খাওয়া হক না কেন, ডিম শরীরের জন্য ভাল। একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যতালিকা মেনে চলতে গেলে এটি কোনওভাবেই এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।

ডিম তো স্বাস্থ্যকর। তবে প্রশ্ন হলো, ডিমের কোন অংশটি বেশি স্বাস্থ্যকর—সাদা নাকি হলুদ অংশ? এটার কি কোনও যৌক্তিকতা রয়েছে৷ আসুন মাপ দেখে জেনে নিই কি ভাবে ডিম খেলে তার কোন অংশটা কতটা উপকারি?

ক্যালরি
ডিমের সাদা অংশ ও কুসুমের মধ্যে ক্যালরির বেশ তারতম্য রয়েছে। একটি বড় ডিমের কুসুমে প্রায় ৫৫ ক্যালরি থাকে, যেখানে সাদা অংশে থাকে মাত্র ১৭ ক্যালরি।

কুসুম
ডিমের কুসুমের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ডায়াটারি কোলেস্টেরল থাকার কারণে এটি অনেকেই এড়িয়ে যান। আগে মানা হত এটা কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি করে। তবে ডিমের কুসুমের মধ্যে রয়েছে বেশি পুষ্টি তাই খুব বেশি একসঙ্গে ডিম না খেলে যদি পরিমিত ভাবে খান তাহলে গোটা ডিম খেলেও কোনও সমস্যা নেই৷

ডিমের কুসুমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি৬, বি১২, এ, ডি, ই ও কে। এছাড়া আরও রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও স্যালেনিয়াম। ডিমের কুসুমের মধ্যে থাকা ক্যারোটিনয়েড দৃষ্টিশক্তি ভাল করে। এটি রেটিনাকেও সুরক্ষিত রাখে। ডিমের কুসুমের মধ্যে জলে দ্রবীভূত একটি ভিটামিন রয়েছে। আর এর নাম কোলিন। এটি শরীরের কার্ডিওভাসকুলার কার্যক্রমকে ভালো রাখে।

ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশ মূলত অ্যালবুমিন। এর মধ্যে কম ক্যালরি থাকার কারণে এবং এটি ফ্যাট ফ্রি হওয়ার কারণে বেশিরভাগ স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এই অংশটি খেতে পছন্দ করে। এটি শরীরকে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন দেয়। এটি পেশি বাড়াতেও সহায়তা করে। এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। এ ছাড়া এর মধ্যে থাকা রিবোফ্ল্যাভিন চোখের ছানি ও মাইগ্রেনের কারণে হওয়া মাথাব্যথা প্রতিরোধে উপকারি।

কোনটি বেশি উপকারি?
ডিমের মধ্যে থাকা ৯৩ ভাগ আয়রনই রয়েছে কুসুমে। আর সাত ভাগ আয়রন রয়েছে সাদা অংশে। পাশাপাশি ক্যালসিয়াম রয়েছে কুসুমে। আসলে দুটো অংশই উপকারি। তবে পুষ্টির কথা বিবেচনায় আনা হলে ডিমের কুসুম কিন্তু বেশি উপাকারি। তাই ডিমের কুসুম ফেলে দেওয়ার আগে আরেকবার ভাবুন। গোটা ডিমটিই খান।

আর যাঁরা কোলেস্টেরল নিয়ে ভাবছেন বা এর ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাঁরা পরিমিতভাবে কুসুম খেতে পারেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যদি তাও শারীরিকভাবে কোনও অস্বস্তি থাকে তাহলে একবার সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন৷