Healthy Lifestyle: মা হতে চান? ডিম্বানুর মান ভাল রাখতে এই ৫ খাবার মাস্ট! সুস্থ সন্তান জন্মাবে, নাহলে কিন্তু...

মহিলাদের ডিম্বাশয়ে স্বাস্থ্যকর ডিম্বাণুগুলি তার ঋতুস্রাবের নিয়মিতভাব, ভবিষ্যতে প্রজনন উর্বরতা এবং তার গর্ভধারণের ক্ষমতা নির্ধারণ করে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)

ইদানিং অনেক দম্পতির ক্ষেত্রেই বাচ্চা হতে দেরি বা সমস্যা দেখা যায়। দেরিতে বিয়ে, ব্যস্ত জীবন, দূষণ, বাজে লাইফস্টাইল ও খাবার ইত্যাদি কারণে প্রজনন সক্ষমতা কমে যেতে পারে।

মহিলাদের ক্ষেত্রে ডিম্বাণুর গুণমান বৃদ্ধি পেলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের পরামর্শ, স্বাস্থ্যকর এবং সুষম ডায়েটের ফলে ডিম্বাণুর গুণমান ও প্রজনন উর্বরতা উন্নত হয়। দেখে নিন কী কী খেলে ডিম্বাণুর গুণমান বৃদ্ধি পেতে পারে।

অ্যাভোকাডো খাওয়া খুবই উপকারী। এটি একটি সুপারফুড। অ্যাভোকাডোতে উচ্চ ফ্যাটযুক্ত উপাদান ডিম্বাণুর স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে। অ্যাভোকাডোগুলিতে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট (শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি ভাল ফ্যাট) বেশি থাকে যা ভাল প্রজনন স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

শরীরে আয়রনের অভাব ডিম্বস্ফোটনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। মুসুর ডাল উর্বরতার জন্য প্রয়োজনীয় আয়রন ও অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজগুলির সমৃদ্ধ উৎস। সন্তান ধারণ করার সময় ডায়েটে মুসুর ডাল উপকারী।

শুকনো ফল এবং বাদাম প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজগুলির একটি দুর্দান্ত উৎস। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের ফ্রি র‌্যাডিকেলগুলিকে অনেক দূরে রাখে এবং আরও ভাল ডিম্বাণু উৎপাদন করতে সাহায্য করে।

তিলের বীজে জিঙ্কের পরিমাণ বেশি এবং ডিম্বাণুর সবচেয়ে ভাল স্বাস্থ্যের জন্য দায়ী হরমোন তৈরিতে সহায়তা করে।

সবুজ শাকসব্জিতে ফোলেট, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন এ বেশি থাকে। প্রতিদিন ডায়েটে কমপক্ষে দুটি সবুজ শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন।

আদাও একটি সুপারফুড। আদায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট শরীরের রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। ঋতুচক্রকে নিয়মিত করতেও এটি কার্যকরী। রান্নায় দেওয়ার পাশাপাশি ডায়েটে আদা অন্তর্ভুক্ত করার অন্যতম সেরা উপায় হল কিছু আদা-চা পান করা।

যুক্তিগতভাবে জল কোনও খাদ্য নয়, তবে ডিম্বাণুর স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান। দিনে ৮ গ্লাস জল পান করার লক্ষ্য রাখুন। তবে একেক জনের শরীরে জলের প্রয়োজনীয়তা একেক ধরনের। এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)