Healthcare: প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তানের মধ্যে বয়সের তফাত কত হওয়া উচিত? বিশেষজ্ঞদের মত জানুন
- Published by:Piya Banerjee
- hyperlocal
- Reported by:RAKESH MAITY
Last Updated:
Healthcare: সন্তান জন্ম দেওয়ার সঠিক বয়স কত? জেনে নিন নানা সমস্যার সঠিক সমাধান
মা হওয়ার উপযুক্ত সময় কোনটি, অল্প বয়সে মা হওয়া যেমন আইনত অপরাধ, তেমনি গর্ভধারিণী মা ও শিশুর সমস্যা হতে পারে। একটি বাচ্চা নেওয়ার কতদিন পর আরেকটি বাচ্চা নেওয়ার ন্যূনতম ব্যবধান রাখা দরকার। সন্তান প্রসবের পর মা ও শিশুর কী কী করণীয়।
advertisement
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। গর্ভকালীন নানা জটিলতার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই ৩০ বছরের মধ্যে অন্তত প্রথমবার গর্ভধারণ করা উচিত বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০ পেরিয়ে গেলে প্রজনন ক্ষমতা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায় এবং বয়স ৩৫ অতিক্রম করলে এই হার কমে যায়।
advertisement
তবে একটি সন্তান জন্ম নেওয়ার পর এই ঝুঁকি কমে যায়। তিরিশের পর সন্তানের জন্ম দিলে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের ফলেও প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়। তাই সচেতন থাকা উচিত।
advertisement
তবে যদি আপনি দ্বিতীয় সন্তান নিতে চান, তাহলে প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তানের মধ্যে একটি নিরাপদ বয়সের তফাত্ রাখা জরুরি। খেয়াল রাখবেন প্রথম সন্তানের পর দ্বিতীয় সন্তান যেন খুব বেশি তাড়াতাড়ি না হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার কনসিভ করার আগে কিছুটা সময় অপেক্ষা করা জরুরি।
advertisement
বর্তমান সময়ে মহিলারাও পুরুষদের মত তাঁদের কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত। সেই কারণে বেশিরভাগ মহিলাই ৩০-এর ঘরে পৌঁছনোর পরই প্রথমবার মা হন। সেই কারণে দ্বিতীয়বার মা হতে গেলে দুটি সন্তানের মধ্যে খুব বেশি বয়সের পার্থক্য রাখা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয় না।
advertisement
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী একবার সন্তানের জন্ম দেওয়ায় মহিলাদের শরীরে যে ধকল পড়ে, তার থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠে তবেই দ্বিতীয় সন্তানের কথা ভাবা উচিত। তা হলেই মা এবং শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যই ভাল থাকবে।আর যদি সেই মহিলার শরীর আয়রনের ঘাটতি থাকে, তাহলে দ্বিতীয়বার মা হওয়ার কথা ভাবার আগে তাঁকে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকা জরুরি। প্রয়োজন কনসিভ করার আগে ডাক্তারী পরামর্শ নিন।
advertisement
সন্তান প্রসবের পর মা ও শিশুর শরীর দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। এ সময় সঠিক যত্ন নিতে হয়। কিছু নিয়ম মেনে চললে এসব জটিলতা এড়ানো সম্ভব। প্রসবের পর সঠিক যত্ন নিলে মায়ের শরীর যেমন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়, তেমনি শিশু সুস্থ থাকে ও সবল হয়ে ওঠে। শিশুর প্রথম ছয় মাসের পুষ্টি আপনার বুকের দুধের ওপর নির্ভরশীল। তাই মায়ের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ, শর্করা, ফ্যাট, ভিটামিন ও খনিজ লবণযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। খাবার তালিকায় সবসময় বেশি করে টাটকা ফল ও শাকসবজি রাখতে হবে। (তথ্য: রাকেশ মাইতি)