বুদ্ধিতে টেক্কা দেবে ফেলুদাকেও! শিশুর পাতে এই খাবারগুলো দিতে যেন কখনও ভুল না হয়!
- Published by:Simli Raha
Last Updated:
বাচ্চাদের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবারগুলি গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
আমরা যে খাবারগুলি খাই মস্তিষ্ক তা থেকে পুষ্টিগুণ শোষণ করে, এ জন্য শিশুর খাবারের প্রতি আমাদের বিশেষ যত্নশীল হতে হবে এবং শিশুদের জন্য এমন পুষ্টিকর খাবার তালিকা তৈরি করতে হবে যা শিশুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা,স্মৃতিশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং, বাচ্চাদের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবারগুলি গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এজন্য ডায়েটিসিয়ান বিধি চাওলার (Vidhi Chawla) কিছু পরামর্শ রইল নিচে!
advertisement
ডিম (Eggs) যদি আপনার সন্তানের ব্রেকফাস্টের মধ্যে কার্বস, প্রোটিন এবং সামান্য পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, তবে এসব তাকে সারা দিন শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করবে। ডিম প্রোটিনের খুব ভালো উৎস এটা আমরা সবাই জানি। এ ছাড়া ডিমের কুসুমে কোলিন থাকে, যা শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।তাই ডিম ব্রেকফাস্টের মধ্যে থাকা অত্যন্ত জরুরী।
advertisement
তৈলাক্ত মাছ (Oily Fish) তৈলাক্ত মাছ ওমেগা ৩ (omega-3) ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস। যা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। স্যামন, ম্যাকারেল, তাজা টুনা, ট্রাউট, সার্ডিন এবং হারিং জাতীয় মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে এবং এগুলি সপ্তাহে একবার খাওয়া উচিত। যেসব শিশু ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি গ্রহণ করে, তারা তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন হয়।
advertisement
ওটস/ওটমিল(Oats/oatmeal) শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে ওটমিল বা ওটস চালিকাশক্তির মতো কাজ করে। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা বাচ্চাদের সন্তুষ্ট রাখে এবং জাঙ্ক ফুড থেকেও দূরে রাখে। এছাড়াও এগুলিতে ভিটামিন ই(Vitamin -E), বি কমপ্লেক্স (Vitamine B)এবং জিঙ্কের (Zink) পরিমাণও থাকে, যা বাচ্চাদের মস্তিষ্ক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই শিশুর সকালের খাবারের তালিকায় ওটস রাখা হলে বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়। এটির উপরে আপেল, কলা, ব্লুবেরি বা বাদামও ছড়াতে পারেন যা আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে খাবারটাকে শিশুদের কাছে।
advertisement
রঙিন শাকসবজি (Colourful veggies) রঙিন শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। আপনার শিশুর ডায়েটে টমেটো, মিষ্টি আলু, মিষ্টিকুমড়ো, গাজর, পালং শাকের মতো রঙিন শাকসবজিগুলি রাখতে হবে কারণ এগুলোতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। এছাড়াও স্যুপের মধ্যেও শাকসবজিগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
advertisement
দুধ, দই এবং পনির (Milk, yoghurt and cheese) দুধ,দই এবং পনিরের মধ্যে প্রোটিন (protein) এবং বি ভিটামিন (Vitamin -B) প্রচুর পরিমাণে রয়েছে যা মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, এগুলির সমস্তই মস্তিষ্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই খাবারগুলিতে ক্যালসিয়ামের (Calcium)পরিমাণও বেশি, যা শক্ত এবং স্বাস্থ্যকর দাঁত এবং হাড়ের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়। বাচ্চাদের ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা তাদের বয়সের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, তবে প্রতি দিন দুই থেকে তিনটি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। আপনার শিশুর দুধ পছন্দ না হলে তার ডায়েটের মধ্যে পরিজ, পুডিংস বা প্যানকেকস তৈরি করার সময় জলের পরিবর্তে দুধ ব্যবহার করুন।
advertisement
বিনজাতীয় খাবার (Beans) সিম, মটরশুটি এবং বাদাম অধিক পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানের উৎস। এসব উপাদান শিশুর জন্য খুবই উপকারী। এই খাবারগুলো শিশুর চিন্তাশক্তি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। স্যালাডের মিশ্রণে মটরশুটি ছড়িয়ে দিন,কাটা লেটুস এবং পনিরের সঙ্গে একত্রিত করে নিখুঁত স্যান্ডউইচ বানিয়ে আপনার শিশুকে পরিবেশন করুন।