Uric Acid: প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে ইউরিক অ‍্যাসিড! এই ২ সস্তা পাতাই ব্রহ্মাস্ত্র, চাটনি বানিয়ে এইভাবে খান আজ থেকেই...কিডনিও ভাল থাকবে

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনেকখানি পাল্টে গিয়েছে মানুষের জীবনযাপন, খাওয়াদাওয়া। ভুলভাল খাদ্যাভ্যাসের থেকে অনিয়মিত দৈনন্দিন জীবনযাপনের কারণে বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই বিভিন্ন শারীরিক সমস‍্যার শিকার।

ডায়াবেটিস, কোল্টেস্টরল, ব্লাড প্রেসার থেকে ইউরিক অ‍্যাসিড। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে থাবা গেড়েছে এমন হাজারো রোগ। তবে আয়ুর্বেদে প্রতিটি রোগের সহজ সমাধান এবং ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে।

বিশেষত ইউরিক অ‍্যাসিডের সমস‍্যায় খাওয়াদাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। কয়েকটি খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। আবার কিছু খাবারে কমে ইউরিক অ‍্যাসিড। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে বাত, কিডনিতে পাথর-সহ অন্যান্য মারাত্মক রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

পতঞ্জলি আয়ুর্বেদাচার্য ভুবনেশ পান্ডে, জানালেন দুটি অতি পরিচিত সবুজ পাতার কথা। এই দুটি পাতা ইউরিক অ‍্যাসিডকে নিয়ন্ত্রমে রাখতে অত‍্যন্ত উপকারী।

আয়ুর্বেদাচার্য জানালেন, এই দুটি পাতা হল ধনে এবং পুদিনা পাতা। তিনি আরও জানালেন, এই দুটি পাতা দিয়ে তৈরি একটি বিশেষ চাটনি খেলেই কমবে ইউরিক অ‍্যাসিড।

আয়ুর্বেদাচার্য ব্যাখ্যা করেছেন যে চাটনি তৈরিতে ধনেপাতা এবং পুদিনা পাতার সঙ্গে কয়েক কোয়া রসুন, এক টুকরো আদা, লেবুর রস, জিরে গুঁড়ে, বিট লবণ এবং স্বাদ অনুযায়ী কাঁচা লঙ্কা ব্যবহার করা স্বাদ এবং স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই ভাল।

ধনে এবং পুদিনার মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা প্রস্রাবের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড অপসারণ করতে সাহায্য করে। এতে পাওয়া লেবু এবং আদা কিডনিকে ডিটক্সিফাই করতে সহায়ক, যার কারণে এটি আরও ভালভাবে কাজ করতে সক্ষম।

এছাড়াও, রসুন এবং আদার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ইউরিক অ্যাসিডের কারণে ফোলা এবং ব্যথা কমায়। সামগ্রিকভাবে, উল্লিখিত উপাদানগুলি দিয়ে তৈরি ধনে পুদিনার চাটনি সেবন করলে কেবল ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমবে না, তবে কিডনির কার্যকারিতাও বাড়বে, ব্যথা এবং ফোলা থেকে মুক্তি পাবে এবং আপনার হজম ক্ষমতাও শক্তিশালী হবে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)