Health Tips: মুঠো মুঠো ওষুধ ছাড়ুন...! ফল-ফুল-পাতা কিচ্ছু ফেলবেন না, এক চুমুকেই বেরিয়ে আসবে পেটের নোংরা ময়লা, ফুটফুটে হবে মুখ
- Published by:Riya Das
- local18
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Health Tips: এই গাছের প্রতিটি অংশই মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি দিতে এবং সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে কার্যকর। আসলে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে এই গাছের প্রতিটি অংশকেই ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
আমাদের চারপাশে এমন অনেক গাছ-গাছালি রয়েছে, যেগুলির স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা তেমন ওয়াকিবহালও নই। তেমনই একটি গাছ হল অমলতাস। যা কোনও মায়াবী গাছের তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। এই গাছের প্রতিটি অংশই মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি দিতে এবং সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে কার্যকর। আসলে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে এই গাছের প্রতিটি অংশকেই ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
advertisement
অমলতাস গাছ সাধারণত ৫ থেকে ১৫ মিটার লম্বা হয়। এর ফল লম্বাটে প্রকৃতির। অনেকটা নল বা লাঠির মতো দেখতে হয়। অমলতাস গাছের ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ রঙের হয়। আর তা পাকলে গাঢ় বাদামী রঙের হয়ে যায়। আর গ্রীষ্মের মরশুমে ফোটে অমলতাস ফুল। উজ্জ্বল হলুদ রঙের এই ফুল রূপে অনন্য। অমলতাস গাছের ফল, ফুল, কাণ্ড ও পাতায় অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যেগুলি নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার দাওয়াই হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
advertisement
পরিবেশের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এবং এই ধরনের গাছ সংরক্ষণে কাজ করেন পরিবেশপ্রেমী সুমিত মহেশ্বরী। তিনি Local 18-কে বলেন যে, অমলতাসের ফুল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য একটি দারুণ ওষুধ হিসাবে প্রমাণিত হয়। আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার দারুণ ওষুধ। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য হলে এই ফুলের ডাল জলে ভিজিয়ে সারা রাত পানিতে রেখে দিতে হবে। তারপর সকালে সামান্য চিনি মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে তা সেবন করতে হবে। এমনটা করা হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে এবং পেটও সব সময় পরিষ্কার থাকবে।
advertisement
জ্বরের ওষুধ হিসেবে অমলতাস গাছের মূল বা শিকড় ব্যবহার করা হয়। এটি জ্বর থেকে মুক্তি দেয় এবং শরীরের ব্যথার জন্য ব্যথানাশক হিসাবে কাজ করে এটি। এর জন্য প্রথমে অমলতাসের মূল গুঁড়ো করে নিতে হবে। এরপর জ্বর হলে দিনে দুই থেকে তিন বার সেই গুঁড়ো সেবন করতে হবে। খুব শীঘ্রই জ্বর এবং শরীরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
advertisement
কারও যদি চর্মরোগ থাকে, তাহলে অমলতাসের ফল সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। আসলে অনেক সময় দাদ, খোসপাঁচড়া, চুলকানি, ত্বকে জ্বালাপোড়া এবং ফুসকুড়ির সমস্যা হতে পারে। নানাবিধ চিকিৎসাতেও আরাম মেলে না। সেক্ষেত্রে এই টোটকা দারুণ উপশম দিতে পারে।।এছাড়া অমলতাসের ফুল ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও অত্যন্ত কার্যকর। এই ফুল বেটে মুখে লাগালে মুখ ফুলের মতোই উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। এই টোটকাটি বাজারজাত ফেসিয়াল ক্রিমের থেকেও বেশি উপযোগী। যা মুখের দাগ-ছোপ এবং ব্রণ দূর করতে সহায়ক। ফলে সৌন্দর্য বর্ধক হিসেবে কাজ করে এই ফুল।