Healthy Fruits: যৌবন হবে চাঙ্গা...! বয়সও হাঁটবে উল্টো দিকে, শীতে রোজ খান এই ফল, 'বাই বাই' বলবে বলিরেখা, বুড়িয়ে যাবেন না অকালে
- Published by:Riya Das
- local18
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Healthy Fruits: ডা. জয়দেব চৌহান লোকাল 18-কে জানান যে, হরিতকি গাছ চিরসবুজ। এই গাছ ১০ থেকে ১৫ ফুট লম্বা হয়। ডিসেম্বর মাসে শীতকালে এই গাছে ফল ধরে।
আজকাল আমাদের দেশে শীত এবং গরম দুই প্রায় চরম আকার ধারণ করে জায়গায় জায়গায়। এর মধ্যে শীতকালে শরীরের একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। সেই জন্যই শীতে নানা রকমের ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। বাজারে অনেক ধরনের ফল পাওয়া যায়, যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এরকম একটি ফল হল হরিতকি বা হরদ (টার্মিনালিয়া চেবুলা) ফল। প্রধানত এই ফলটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। হরিতকি গাছে ডিসেম্বর মাসে ফল ধরে। সবদিক দিয়েই উপকারী এই ফলটি। এটির নিয়মিত সেবনে বার্ধক্য দূরে থাকবে।
advertisement
এই ফলটি ওজনে খুবই হালকা হয় এবং দেখতে অনেকটা সবুজ ও বাদামি, এর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। যার কারণে বাজারে ১ কেজি হরিতকি পাওয়া যায় ৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে। এই ফলের অ্যান্টিএজিং, অ্যান্টিহেলমিন্থিক এবং অ্যান্টিডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও এই ফলে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যবর্ধক গুণ।ডা. জয়দেব চৌহান লোকাল 18-কে জানান যে, হরিতকি গাছ চিরসবুজ। এই গাছ ১০ থেকে ১৫ ফুট লম্বা হয়। ডিসেম্বর মাসে শীতকালে এই গাছে ফল ধরে।
advertisement
ডা. জয়দেব ব্যাখ্যা করেছেন যে, আয়ুর্বেদে হরিতকিকে মায়ের মতো বলা হয়েছে, কারণ একজন মা যেমন তার সন্তানের কোনও ক্ষতির কথা ভাবে না, তেমনই হরিতকির ফল অতিরিক্ত খেলেও তা আমাদের শরীরের ক্ষতি করে না, এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এই ফলের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। যেমন এই ফল নিয়মিত খেলে বার্ধক্য দেরিতে আসে।
advertisement
এর পাশাপাশি এতে রয়েছে অনেক অ্যান্টি-ডায়াবেটিক গুণ। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয় এবং এর সেবন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও এটিতে অ্যান্টি-হেলমিন্থিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই কারণে এটি পেটের কৃমিও দূর করে।শুধু তাই নয়, এই ফলটি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া হয়, যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা উপহার দিতে পারে।
advertisement
খিদে বাড়াতে হরিতকি ফল চিবিয়ে খাওয়া হয়। এর বীজ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। এটি সেদ্ধ করে খাওয়া হলে তা অ্যান্টিডিসেনটেরিক হিসাবে কাজ করে। অন্য দিকে, এটি ভাজা করে খেলে বাত, পিত্ত ও কফের মতো দোষ দূর হয়। এই ফলটি খাবারের সঙ্গে স্যালাড আকারে খেলে শরীরের শক্তি, বুদ্ধিমত্তা ও মাংসপেশির বিকাশ ঘটে। আয়ুর্বেদের অনেক ওষুধে এই ফলটি ব্যবহার করা হয়।