Health Tips: শরীরের ব্যথায় নাজেহাল! ক্যালসিয়ামের ভাণ্ডার এই ৫ খাবার, খেলেই হাড় লোহার মতো মজবুত

হাড়ই শরীরে ভারসাম্য আনতে কাজ করে। তাই হাড়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। আজকাল ৩০ থেকে ৪০ বছরে অনেকেই শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-এর অভাবের কারণে সমস্যায় পড়েন। এটি ঘটে কারণ তাঁদের খাদ্যতালিকায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের অভাব রয়েছে।

বয়স বাড়ার সঙ্গে যদি আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিস, জয়েন্টের ব্যথা, হাড় ভাঙার সমস্যায় ভুগতে না চান, তা হলে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ আইটেমগুলি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। তাতে সুস্থ থাকতে পারবেন। এছাড়াও হাড় সম্পর্কিত ঝুঁকি হ্রাস করা হয়। লখনউয়ের সেন্ট্রাল কমান্ড হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান রোহিত যাদব বিস্তারিত জানাচ্ছেন।

পোস্ত বীজ: দুধ এবং দই ছাড়াও ক্যালসিয়াম সরবরাহ করতে খাদ্যতালিকায় পোস্ত বীজ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আসলে এই বীজ আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ভাল ফ্যাটের একটি চমৎকার উৎস। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ পোস্ত বীজ নিয়মিত সেবন করলে হাড়কে রোগ থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। এটি গরম প্রকৃতির। তাই শুধুমাত্র সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য: ব্যস্ত জীবনে খাদ্যাভ্যাসের প্রতি মনোযোগ দেওয়া যায় না। অনেকেই প্রতিদিন দুধ ও দই খান না। এমতাবস্থায় ক্যালসিয়াম পেতে হলে দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া উচিত। এটি করলে বার্ধক্যে হাড় সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ হবে। প্রকৃতপক্ষে অন্যান্য খাবারের তুলনায় দুগ্ধজাত পণ্যে ক্যালসিয়াম বেশি থাকে।

চিয়া বীজ: শরীরে উপস্থিত ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করে। দুধ এবং মাছ খাওয়া বেশি উপকারী। তবে কেউ এই জিনিসগুলি না খেলে চিয়া বীজ খেতে পারেন। চিয়া বীজ ক্যালসিয়াম, ওমেগা ৩, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিনের একটি ভাল উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম পরিবেশনে আনুমানিক ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।

সবুজ শাক সবজি: সবুজ শাক খাওয়া যথেষ্ট পুষ্টি দেবে। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, কে, আয়রন, ফাইবারের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম। পালং শাক অবশ্যই খেতে হবে। শাক খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হবে না। পালং শাক খেলে ক্যালসিয়াম, আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন এ এবং সি পাবেন।

বাদাম এবং বীজ: কিছু বাদামে ক্যালসিয়াম খুব বেশি থাকে। তাই বাদাম, তিল এবং শণের বীজ খান। এগুলো খেলে আপনি ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন কে, অনেক ধরনের মিনারেল, ফাইবার, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাবেন। প্রকৃতপক্ষে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শরীরের ফ্রি র‍্যাডিকেলের কারণে কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।