শিরায় শিরায় সঞ্চার হবে প্রাণশক্তি এবং বৃদ্ধ বয়সেও শরীর থাকবে তরতাজা! পুরুষদের জন্য যেন আশীর্বাদ এই গাছটি, শুনে নিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Benefits of Satyanashi: অনেক সময় বাড়ির আশপাশে নানারকম গাছ দেখা যায়। যেগুলি একপ্রকার অযত্নে-অবহেলায় বেড়ে ওঠে। আমরাও সেই গাছগুলিকে আগাছা বলে ভুল করি। আদতে সেই গাছগুলির আয়ুর্বেদিক গুণ রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। এর মধ্যে একটি গাছ হল সত্যনাশী। এই গাছটি বাংলায় আবার শিয়ালকাঁটা বা কন্টিকারি নামে পরিচিত।
অনেক সময় বাড়ির আশপাশে নানারকম গাছ দেখা যায়। যেগুলি একপ্রকার অযত্নে-অবহেলায় বেড়ে ওঠে। আমরাও সেই গাছগুলিকে আগাছা বলে ভুল করি। আদতে সেই গাছগুলির আয়ুর্বেদিক গুণ রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। এর মধ্যে একটি গাছ হল সত্যনাশী। এই গাছটি বাংলায় আবার শিয়ালকাঁটা বা কন্টিকারি নামে পরিচিত। কাঁটাযুক্ত গাছগুলিতে হলুদ রঙের সুন্দর ফুল ফুটে থাকতে দেখা যায়।
advertisement
তবে অনেকেই জানেন না যে, এই গাছটি আদতে পুরুষদের জন্য আশীর্বাদ। কারণ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, সত্যনাশী গাছের মূল এবং পাতা থেকে নির্গত রস পান করলে পুরুষত্বহীনতার সমস্যা অনায়াসে দূর হবে। এমনকী এ-ও বলা হয় যে, একজন ৬০ বছরের বৃদ্ধও যদি এই রস সেবন করেন, তাহলে তাঁর মধ্যেও যৌবনের মতো তরতাজা ভাব সঞ্চার হবে। এখানেই শেষ নয়, এই গাছের পাতা যদি শুকিয়ে গুঁড়ো করে রেখে দিয়ে প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় সেবন করা হলে মাত্র তিরিশ দিনের মধ্যে শারীরিক দুর্বলতা সম্পূর্ণ রূপে গায়েব হয়ে যাবে।
advertisement
advertisement
advertisement
এই গাছ একেবারে কাঁটায় ভর্তি থাকে। আর এর উজ্জ্বল হলুদ রঙা ফুলের ভিতর থাকে গাঢ় রঙের বীজ। আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই গাছের পাতা ভাঙা হলে তা থেকে হলুদ রঙের দুধের মতো পদার্থ নির্গত হয়। সেই কারণে এই গাছকে স্বর্ণক্ষীরী বলেও ডাকা হয়। আয়ুর্বেদাচার্য ভুবনেশের বক্তব্য, বহু মানুষের মধ্যেই শারীরিক দুর্বলতা দেখা যায়। অনেক সময় বয়সবৃদ্ধির কারণে তাঁরা পুরুষত্বহীনতা অথবা ক্লান্তিতে ভোগেন। এমনটা হলে অবশ্যই এই রস সেবন করা উচিত। আর এটি সেবন করার দু’টি উপায় প্রসঙ্গেও জানালেন তিনি।
advertisement
সত্যনাশী গাছের রস বার করার জন্য এর মূল এবং পাতা বেটে নিতে হবে। কিংবা এই গাছের পাতা শুকিয়ে নিয়ে তা গুঁড়ো করেও প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় জল অথবা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করা যেতে পারে। তবে মনে রাখা আবশ্যক যে, প্রতিদিন এর ২০ মিলিলিটার রস পান করা যেতে পারে। আর গুঁড়োর আকারে সকালে ও সন্ধ্যায় এক চামচই সেবন করা উচিত।
advertisement
প্রসঙ্গত, পুরুষত্বহীনতা নানা কারণে আসতে পারে। এর মূল কারণ হল শুক্রাণুর সংখ্যা কম। ভুবনেশের মতে, সত্যনাশী গাছে এমন গুণ রয়েছে, যা পুরুষদের দেহে শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে। তাই শুক্রাণুর সংখ্যার ঘাটতির জেরে যাঁরা সন্তানসুখ পাচ্ছেন না, তাঁরা এই গাছের রস সেবন করলে উপকার পাবেন। আসলে মাত্র ২১ দিন টানা ব্যবহার করলেই গায়েব হবে পুরুষত্বহীনতার সমস্যা। যে কোনও ভাবে যদি এক মাস সত্যনাশী সেবন করা যায়, তাহলে দেহ যেন শক্তিতে টগবগ করে ফুটবে।