ইমিউনিটি বাড়াতে রোজ খাচ্ছেন গিলয়, অজান্তেই ডেকে আনছেন বড় বিপদ! লিভার ড্যামেজের আশঙ্কা
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
Side Effects of Giloy: করোনাকালে ইমিউনিটি বাড়ানোর চেষ্টায় অনেকেই এর অতিরিক্ত সেবনে পড়েছেন বিপদে, গুরুতর লিভারের অসুখ নিয়ে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়
ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্র (Ministry of Ayush) কিন্তু সতর্ক করে দিতে ভোলেনি। সাফ জানানো হয়েছে যে টাইনোস্পোরা কর্ডিফোলিয়া (Tinospora Cordifolia), সংক্ষেপে TC, যা গুড়ুচি (Guduchi) বা গিলয় (Giloy) নামেও সুপরিচিত, তা চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করা উচিত নয়। তার পরেও দেখা যাচ্ছে যে করোনাকালে ইমিউনিটি বাড়ানোর চেষ্টায় অনেকেই এর অতিরিক্ত সেবনে পড়েছেন বিপদে, গুরুতর লিভারের অসুখ নিয়ে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। কী ভাবে প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য?
advertisement
advertisement
দ্বিতীয়জন টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং জন্ডিস নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন, তিনি সেবন করতেন দিনে একটি শিকড়। তৃতীয়জনের ছিল বেটা থ্যালাসিমিয়া এবং জন্ডিস, এঁর ক্ষেত্রে গুড়ুচি সেবনের পরিমাণ ছিল দিনে ৪-৫টি শিকড়। চতুর্থজনের ছিল টাইপ ২ ডায়াবিটিস এবং পঞ্চমজনের ছিল জন্ডিস। এঁরা সকলেই গুড়ুচি সেবন বন্ধ করার পরে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
advertisement
মেদান্ত লিভার ট্রান্সপ্লান্ট ইন্সটিটিউটের (Medanta Liver Transplant Institute) চেয়ারম্যান ড. অরবিন্দ সিং সোইন (Dr Arvinder Singh Soin) জানিয়েছেন যে অধিকাংশেরই বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছে ৪-৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে একটানা গুড়ুচি সেবন করার ফলে। ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্রকও জানিয়েছে যে দিনে ১-৩ গ্রামের বেশি গুড়ুচি সেবন নিরাপদ নয়, কিন্তু এই রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নেননি বলেই লিভারের অসুখে ভুগেছেন। সৌভাগ্যবশত তাঁরা সেরে উঠেছেন ঠিকই, কিন্তু বিপদ আরও ভয়াবহ হতে পারত।
advertisement
advertisement