Health And Beauty Tips: এই গাছের তেল 'মহৌষধ', মাখলে টাকে চুল গজায়, বন্ধ হয় চুল পড়া, দূর হয় বাতের ব্যথা-সহ ত্বকের যে-কোনও সমস্যা
- Published by:Rukmini Mazumder
- local18
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
চুল পাতলা হয়ে আসছে? মাথায় থাক পড়ছে? চুল পড়া বেড়েছে? ত্বকে দাগ-ছোপ-ব্রণ? সবস সম্যার সমাধান এই একটা তেলে
আমাদের দেশে শত শত প্রকারের গাছপালা ও ঘাস রয়েছে, যেগুলো ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এমন কিছুও গাছপালা আছে যেগুলো আমাদের চোখের সামনে থাকলেও সবসময় নজরে পড়ে না। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল মানুষ এগুলি সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। আজ এমন একটি ওষুধ সম্পর্কে জেনে নিন যা সাধারণত শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র পাওয়া যায়। ক্যাস্টর গাছ। ক্যাস্টর হল চওড়া পাতা বিশিষ্ট একটি ছোট আকারের উদ্ভিদ, যা প্রাকৃতিক ভাবে জন্মায়। তবে বাণিজ্যিক ভাবেও এর চাষ শুরু হয়েছে।
advertisement
ক্যাস্টর গাছ সর্বত্র জন্মায়। গ্রামাঞ্চলে শিশুরা এর বীজ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলে। অনেক রোগের চিকিৎসায় ক্যাস্টর অয়েল দারুন প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে এই উদ্ভিদটি বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত উদ্ভিদের মর্যাদা পেয়েছে। যা এটিকে বিষাক্ত করে তোলে তা হল এতে উপস্থিত রিসিন নামক রাসায়নিক। এটি বিষাক্ত হওয়া সত্ত্বেও এর থেকে ওষুধও তৈরি হয়। আসলে ক্যাস্টরের বীজে সবচেয়ে বেশি বিষ পাওয়া যায়। কেউ যদি এই বীজগুলি চিবিয়ে খায় বা এই বীজ পেটে যায় তবে পরিস্থিতি মারাত্মক হতে পারে।
advertisement
ক্যাস্টর গাছের পাতা, বীজ, ফুল, শিকড় সবই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কমলগঞ্জের আয়ুষ মেডিকেল অফিসার ডা. ধর্মেন্দ্র সিং যাদব জানান, ওষধি তেলের জন্য ক্যাস্টর চাষ করা হয়। এটি গুল্ম আকারে বেড়ে ওঠা একটি উদ্ভিদ যা বাণিজ্যিক ভাবে কৃষককে প্রচুর লাভ দেয়। আয়ুর্বেদে এর পাতা, বীজ, ফুল ও শিকড়ের প্রতিটি অংশ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মূল জলে সেদ্ধ করে ব্যবহার করলে চর্মজনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও ক্যাস্টর অয়েল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ক্যাস্টর অয়েল ত্বক সম্পর্কিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কার্যকর। এর ব্যবহারে ত্বকের ব্রণ ও কালচে দাগ দূর হয়।
advertisement
আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় কার্যকর ক্যাস্টর অয়েল। ডা. ধর্মেন্দ্র সিং যাদব বলেন, ক্যাস্টর অয়েলে ভিটামিন ই পাওয়া যায় যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ক্যাস্টরের বীজ বাতের চিকিৎসায় সাহায্য করে। এটি জয়েন্ট এবং পেশির রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। ক্যাস্টর বীজে পাওয়া অলিক অ্যাসিড, রিসিনোলিক অ্যাসিড, লিনোলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য ফ্যাটি অ্যাসিড আর্থ্রাইটিস সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর।
advertisement
advertisement
advertisement
ডা. ধর্মেন্দ্র সিং যাদব সচেতন করে জানান, ক্যাস্টর বীজ খেলে অ্যালার্জি, মূর্চ্ছা, বিভ্রান্তির মতো সমস্যা হতে পারে। ক্যাস্টর অয়েলের অত্যধিক ব্যবহারে ডায়রিয়া, বমি এবং পেটে ব্যথা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় এর ব্যবহার গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শেই ক্যাস্টর সিড বা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা উচিত।