Green Peas in Diabetes: বাজারে চলে এসেছে, ব্লাড সুগারে মটরশুঁটি খাওয়া কি উপকারী না ক্ষতিকর? জানুন বিশেষজ্ঞের মত

শীতকাল মানেই মটরশুঁটি। ডালে-ঝোলে-তরকারিতে একটু ছিটিয়ে না দিলে হয় না। মটরশুঁটির খাওয়ার প্রচলন প্রাচীন মানবসভ্যতা থেকেই৷ ঐতিহাসিকরা বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন গত ২৩ হাজার বছর ধরে মটরশুঁটি খাওয়ার চল রয়েছে বিভিন্ন সভ্যতায়৷ ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন সি, আয়রন, ভিটামিন বি-৬, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম-সহ নানা উপকরণে ঠাসা এই সবজি৷

বিশিষ্ট ডাক্তার কৌশিক সেনগুপ্ত বলেছেন মটরশুঁটির উপকারিতার কথা৷ পুষ্টিগুণে ভরা মটরশুঁটিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং ক্যারোটেনয়েডস৷ এই দুই উপাদান সাহায্য করে ক্রনিক অসুখ নিয়ন্ত্রণে৷

পুষ্টিবিদের মতে, রোজকার ডায়েটে মটরশুঁটি রাখলে হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় থাকে৷ খনিজ, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ফোলেট থাকার কারণে সার্বিক সুস্থতার জন্য মটরশুঁটি প্রয়োজনীয়৷

ওজন হ্রাস-- ফাইবার ও প্রোটিন প্রচুর পরিমাণে আছে মটরশুঁটিতে৷ দীর্ঘ ক্ষণ পেটে থাকে মটরশুঁটির দানা৷ ফলে সার্বিকভাবে ক্যালরি ইনটেক কমে যায়৷ যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা ডায়েটে রাখুন সিদ্ধ মটরশুঁটি৷

অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের শক্তি-- ফ্ল্যাভোনয়েডস ও ক্যারোটেনয়েডস ভরপুর মটরশুঁটিতে৷ এই যৌগ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে৷ ক্রনিক অসুখের আশঙ্কাও কমে৷

পরিপাক ক্রিয়া-- মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার আছে৷ এর ফলে পেটের স্বাস্থ্য ভাল থাকে৷ দূর হয় পেটের রোগের আশঙ্কা৷ কোষ্ঠকাঠিন্য সারিয়ে দেয় মটরশুঁটির ফাইবার৷

হৃদযন্ত্রের সুস্থতা-- মটরশুঁটির পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ব্লাড প্রেশার সুস্থ স্বাভাবিক রাখে৷ এছাড়া এর ফাইবার নিয়ন্ত্রণ করে কোলেস্টেরল মাত্রা৷ ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে৷

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ-- মটরশুঁটিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম৷ ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না৷ এর ফাইবার ও প্রোটিন শর্করা শোষণেও বাধা দেয়৷ যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁরা নিয়মিত মটরশুঁটি খান৷