Gastric Problem: বুকে জ্বালা -টক ঢেকুর? গ্যাস্ট্রিককে অবহেলা করলেই বিপদ! হতে পারে আলসার! চিকিৎসকের সতর্কবার্তা না মানলেই....

Last Updated:
Gastric Problem: অম্বল, বুক জ্বালা ও পেট ফাঁপাকে অবহেলা করলে আলসার ও গুরুতর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। সময়মতো চিকিৎসাই একমাত্র পথ।
1/6
আজকের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় গ্যাস্ট্রিক সমস্যা যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। উপকূলীয় এলাকার কাঁথি–এগরার অধিকাংশ মানুষই গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুক্তভোগী। সময়মতো খাবার না খাওয়া, অনিয়মিত জীবনযাপন, অতিরিক্ত ঝাল ও তেলযুক্ত খাবার, মানসিক চাপ এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। কাঁথি, এগরা ও রামনগর এলাকায় গ্যাস্ট্রিকের দাপট বাড়ছে। এই অঞ্চলের অনেকেই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেন না। অথচ চিকিৎসকদের মতে, প্রাথমিক অবস্থায় গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ না করলে তা ধীরে ধীরে মারাত্মক রূপ নিতে পারে। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
আজকের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় গ্যাস্ট্রিক সমস্যা যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। উপকূলীয় এলাকার কাঁথি–এগরার অধিকাংশ মানুষই গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুক্তভোগী। সময়মতো খাবার না খাওয়া, অনিয়মিত জীবনযাপন, অতিরিক্ত ঝাল ও তেলযুক্ত খাবার, মানসিক চাপ এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। কাঁথি, এগরা ও রামনগর এলাকায় গ্যাস্ট্রিকের দাপট বাড়ছে। এই অঞ্চলের অনেকেই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেন না। অথচ চিকিৎসকদের মতে, প্রাথমিক অবস্থায় গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ না করলে তা ধীরে ধীরে মারাত্মক রূপ নিতে পারে। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
2/6
কিন্তু বুঝবেন কীভাবে যে আপনি গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগছেন? চিকিৎসকদের মতে, শরীর আগেই সতর্ক সংকেত দেয়। নিয়মিত বুকে জ্বালা, অম্বল, টক ঢেকুর ওঠা, পেট ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা থাকলে সেটি গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ হতে পারে। খাওয়ার পর বুকের মাঝখানে জ্বালাপোড়া, পেটের ওপরের অংশে ব্যথা, অল্প খাবারেই পেট ভরে যাওয়া কিংবা বমি বমি ভাব দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি।
কিন্তু বুঝবেন কীভাবে যে আপনি গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগছেন? চিকিৎসকদের মতে, শরীর আগেই সতর্ক সংকেত দেয়। নিয়মিত বুকে জ্বালা, অম্বল, টক ঢেকুর ওঠা, পেট ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা থাকলে সেটি গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ হতে পারে। খাওয়ার পর বুকের মাঝখানে জ্বালাপোড়া, পেটের ওপরের অংশে ব্যথা, অল্প খাবারেই পেট ভরে যাওয়া কিংবা বমি বমি ভাব দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি।
advertisement
3/6
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগলে তার প্রভাব ভয়ঙ্কর হতে পারে। নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা ও হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় রোগী এটিকে সাধারণ সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যান। কিন্তু এই অবহেলাই ভবিষ্যতে বড় বিপদের কারণ হতে পারে। চিকিৎসা না করলে ধীরে ধীরে গ্যাস্ট্রিক আলসার, রক্তাল্পতা এবং অন্ত্রের মারাত্মক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগলে তার প্রভাব ভয়ঙ্কর হতে পারে। নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা ও হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় রোগী এটিকে সাধারণ সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যান। কিন্তু এই অবহেলাই ভবিষ্যতে বড় বিপদের কারণ হতে পারে। চিকিৎসা না করলে ধীরে ধীরে গ্যাস্ট্রিক আলসার, রক্তাল্পতা এবং অন্ত্রের মারাত্মক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
advertisement
4/6
কাঁথিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মনিপাল হাসপাতালের গ্যাস্ট্রো রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম দাস বলেন, “এখন গ্যাস্ট্রো সমস্যার হার ক্রমশ বাড়ছে, যার প্রধান কারণ অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে দেরি। ফ্যাটি লিভার, অ্যাসিডিটি-রিফ্লাক্স, ইনফ্লেমেটরি বোয়েল ডিজিজ এবং বিভিন্ন পেটের সংক্রমণ এখন সাধারণ হয়ে উঠছে এবং অনেক সময় নীরবে বাড়তে থাকে। সময়মতো পরীক্ষা ও চিকিৎসা হলে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা অনেকটাই এড়ানো যায়।”
কাঁথিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মনিপাল হাসপাতালের গ্যাস্ট্রো রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম দাস বলেন, “এখন গ্যাস্ট্রো সমস্যার হার ক্রমশ বাড়ছে, যার প্রধান কারণ অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে দেরি। ফ্যাটি লিভার, অ্যাসিডিটি-রিফ্লাক্স, ইনফ্লেমেটরি বোয়েল ডিজিজ এবং বিভিন্ন পেটের সংক্রমণ এখন সাধারণ হয়ে উঠছে এবং অনেক সময় নীরবে বাড়তে থাকে। সময়মতো পরীক্ষা ও চিকিৎসা হলে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা অনেকটাই এড়ানো যায়।”
advertisement
5/6
চিকিৎসকদের মতে, গ্যাস্ট্রিক সমস্যাকে দীর্ঘদিন অবহেলা করলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। পেটে আলসার হয়ে রক্তক্ষরণ, কালো পায়খানা, বমির সঙ্গে রক্ত বেরোনো কিংবা হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার মতো বিপজ্জনক লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এমনকি দেরিতে চিকিৎসা শুরু হলে জীবননাশের ঝুঁকিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
চিকিৎসকদের মতে, গ্যাস্ট্রিক সমস্যাকে দীর্ঘদিন অবহেলা করলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। পেটে আলসার হয়ে রক্তক্ষরণ, কালো পায়খানা, বমির সঙ্গে রক্ত বেরোনো কিংবা হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার মতো বিপজ্জনক লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এমনকি দেরিতে চিকিৎসা শুরু হলে জীবননাশের ঝুঁকিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
advertisement
6/6
তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পেটের সমস্যাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। সময়মতো খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত চা-কফি ও ধূমপান এড়ানো, পর্যাপ্ত জল পান এবং মানসিক চাপ কমানো গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে বিপজ্জনক লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সচেতন থাকলেই বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পেটের সমস্যাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। সময়মতো খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত চা-কফি ও ধূমপান এড়ানো, পর্যাপ্ত জল পান এবং মানসিক চাপ কমানো গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে বিপজ্জনক লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সচেতন থাকলেই বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
advertisement
advertisement