অভাব এবং অর্থনৈতিক চাপ এড়াতে এই পাঁচ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন
- Published by:Piya Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
এই পাঁচটি পরিস্থিতিতে নিজের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে পর্যালোচনা করা খুব জরুরি, মিলিয়ে দেখে নিন!
জীবনে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি তার যথাযথ ব্যবহারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে কেউ বিনিয়োগ করেন। কেউ আবার কোনও বিমা করেন। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই ঠিকঠাক প্ল্যানের প্রয়োজন রয়েছে। অনেক সময় আবার উপার্জনের পরিমাণ কমতে পারে। চাকরি যেতে পারে। ব্যবসায় লোকসান হতে পারে। কিংবা পরিবারে কারও কোনও সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু সমস্ত পরিস্থিতির জন্য আবার আগাম তৈরিও থাকতে হবে। আর এই সব কিছুর মূলে রয়েছে একটি যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ। এবং সময়ে সময়ে সেই পরিকল্পনায় বদল আনা। এক্ষেত্রে সবার আগে জেনে নিন কোন বিষয়গুলোতে নজর দেবেন। photo source collected
advertisement
উপার্জনে পরিবর্তন: এটি সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় অন্তর বা বছর শেষে আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন আনতে হবে। সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ ও বিমা করতে হবে। তবে ঝুঁকির বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। কারণ যে কোনও সময় চাকরি যেতে পারে। বড় কোনও সমস্যা হতে পারে।photo source collected
advertisement
উচ্চাকাঙ্ক্ষার পাশাপাশি ওজন বুঝে চলতে হবে: জীবনে আরও বেশি চাওয়ার মধ্যে কোনও অপরাধ নেই। তবে ওজন বুঝে চলতে হবে। নিজের আয়-ব্যয়ের হিসেব রাখতে হবে। কোথাও ইনভেস্ট করার আগে সমস্ত বিষয় ও নিজের ইনভেস্ট ক্যাপাসিটির খেয়াল রাখতে হবে। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি আয় বাড়ে, তা হলে পরিকল্পনায় বদল আনতে হবে। একটি ছোট উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও সহজ হয়ে যাবে। ধরা যাক, কেউ ১০০০ SIP-তে মিউচুয়াল ফান্ড শুরু করলেন। তাঁর এক্সপেক্টেড রিটার্ন ১২ শতাংশ। ১০ বছর পর তিনি ঘরে নিয়ে যাবেন ২,২১,৯৩০ টাকা। এবার যদি আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের SIP প্রতি বছর মাত্র ১০ শতাংশ বাড়ানো যায়, তা হলে সেই ব্যক্তিই প্রায় ৩,২৬,৮৮৯ টাকা পেয়ে যাবেন।photo source collected
advertisement
জীবনের বড় কোনও ঘটনা: ছেলে-মেয়ের জন্মানো, তাদের পড়াশোনা বিয়ে বা উচ্চশিক্ষা- এগুলি জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাঁর স্ত্রী, পুত্র, পরিবারের সদস্যদের জীবন। এক্ষেত্রে সঠিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা খুব জরুরি। বিভিন্ন ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড, বিনিয়োগ, বন্ড ইনভেস্টমেন্ট, বিমাগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে। শুধু নিজের কথা নয়, পরিবারের কথা ভেবে সামগ্রিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।photo source collected
advertisement
বড়সড় কেনাকাটা ও লোন: প্রায় প্রত্যেকেরই গাড়ি-বাড়ি করার স্বপ্ন থাকে। এক্ষেত্রে জীবনের অন্যতম বড় অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়ায় এগুলি। আর ঠিক এখানেই লোন নেওয়ার পথে হাঁটেন অনেকে। অনেক সময়ে এই লোন আবার দীর্ঘমেয়াদী হয়। এক্ষেত্রে ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নিজের বিমাগুলির অর্থাৎ লাইফ ইনসিওরেন্স কভারগুলির বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে। এই তালিকায় আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত হল এডুকেশন লোন। এক্ষেত্রে পড়ার পরও চাকরি পেতে অনেক সময় লেগে যায়। এই সমস্ত পরিস্থিতিতে লোনের রি-পেমেন্ট থেকে শুরু করে একাধিক স্কিম নিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে।photo source collected
advertisement
বড় কোনও বিপদ/ স্বাস্থ্য বিমা: আরও বেশি উপার্জন এবং আরও বেশি করে উপভোগের মাঝে, যে কোনও সময় দুঃসময় কড়া নাড়তে পারে দরজায়। যে কোনও মারণ ব্যাধির শিকার হতে পারেন মানুষজন। কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আগাম সতর্কতা সত্ত্বেও বিপদের সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পকেট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খসার সম্ভাবনা প্রবল। তাই এই সময়ের জন্য আগেভাগে তৈরি থাকতে হবে। এক্ষেত্রে নিজের অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকে একবার ভালো করে ঝালিয়ে নিতে হবে। ঠিকঠাক কভারের হেল্থ ইনসিওরেন্স তথা স্বাস্থ্য বিমা করতে হবে। যাতে হাসপাতালের অফুরন্ত খরচ সামাল দেওয়া যায়। পরিবারের আপদ-বিপদেও কাজে আসতে পারে একটি সঠিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা।photo source collected