Food to Stop Fatty Liver: কয়েক ফোঁটা লেবুর রসেই চেঁছেপুঁছে সাফ লিভারের নোংরা! শিকড় থেকে নিংড়ে দূর ফ্যাটি লিভারের রোগ!

খাদ্যাভ্যাসের প্রতি মনোযোগ না দেওয়া ফ্যাটি লিভারের অন্যতম বড় কারণ। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন লিভারের ক্ষতি করতে শুরু করে। এছাড়াও, স্থূলতা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এমন পরিস্থিতিতে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমাতে খাদ্যাভ্যাসের উন্নতি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা ফ্যাটি লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদ আশিমা অঞ্চতানী তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে তিনি বলছেন যে ফ্যাটি লিভার থাকলে কোন খাবার খাওয়া উপকারী। পুষ্টিবিদদের মতে, এই জিনিসগুলি ফ্যাটি লিভার পরিষ্কার করে এবং এটিকে ডিটক্স করতে কাজ করে। যদি আপনিও ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে এই জিনিসগুলিকে আপনার খাদ্যতালিকার অংশ করে তুলতে পারেন।

ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় হলুদ খাওয়া উপকারী প্রমাণিত হয়। এক গ্লাস পানি বা দুধে হলুদ এবং সামান্য কালো মরিচ যোগ করে মিশিয়ে নিন। এক সপ্তাহ ধরে একটানা পান করুন, তারপর ২ সপ্তাহ বাদ দিন এবং তারপর আবার এক সপ্তাহ ধরে একটানা পান করুন। লিভার ডিটক্সে হলুদ উপকারী প্রমাণিত হয়।

রসুন কুচি করে জলের সাথে খান অথবা অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খান। রসুন লিভারে জমে থাকা চর্বি দূর করতে কার্যকর। রসুন খাওয়া কেবল লিভারের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে না, বরং উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরাও কাঁচা রসুন খেলে উপকার পান।

যদি প্রতিদিন একটি লেবুর রস পান করা হয়, তাহলে লিভার ডিটক্সিফাই হতে শুরু করে। খাবারের উপর লেবুর রস ছেঁকে নিলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এটি লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

টম্যাটোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এমন পরিস্থিতিতে টম্যাটো কাঁচা খাওয়া যেতে পারে। পুষ্টিবিদরা বলছেন যে আপনি টম্যাটো স্যালাড তৈরি করে খেতে পারেন।

ওটস ফাইবার সমৃদ্ধ। পেটের সমস্যা দূর করতে ফাইবার বিশেষভাবে উপকারী। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকলে এটি খাওয়া হলে, এটি লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ওটস আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনোভাবে খাওয়া যেতে পারে। এটি পিষে নেওয়ার পর, এর ময়দা দিয়ে রুটি তৈরি করা যেতে পারে, চিল্লা তৈরি করা যেতে পারে, এটি মশলাদার খাওয়া যেতে পারে অথবা এটি থেকে ভেল তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে।