Fatty Liver & Cholesterol Control Home Remedy: জাস্ট ১ চামচ সোনালি তরল! লিভার থেকে শুষে নেয় ফ্যাট! ব্লাড সুগারের যম! কোলেস্টেরলে ধন্বন্তরি! ওজন কমাতেও অব্যর্থ!

অ্যাপল সিডার ভিনিগারের উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না৷ আজকের সময়কার একাধিক লাইফস্টাইল ডিজিজের ঘরোয়া প্রতিকার এই তরল৷ ফ্যাটি লিভার, ব্লাড সুগার, কোলেস্টেরল-এই ৩ রোগে অব্যর্থ এই সোনালি তরল৷ এই ৩ রকম লাইফস্টাইল ডিজিজে ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই ভিনিগার৷ শুধু খাওয়ার নিয়ম জানলে এবং মানলে দুশ্চিন্তা শেষ৷ বলছেন পুষ্টিবিদ শিল্পা অরোরা৷

আপেল সাইডারে অ্যাসিটিক অ্যাসিড থাকে যা রক্তে জটিল কার্বোহাইড্রেটের রূপান্তরকে ধীর করে দিতে পারে। ফলস্বরূপ, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। অ্যাসিটিক অ্যাসিড উপকারী হতে পারে এবং কার্বোহাইড্রেট হজমের পদ্ধতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। এটি কোষের ইনসুলিন নিঃসরণকেও উৎসাহিত করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা আরও ভালভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এই অ্যাসিডের গ্লাইসেমিক-বিরোধী প্রভাব রয়েছে বলেও জানা যায় যা স্টার্চ হজমকেও কমিয়ে দেয়।

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার সরাসরি খাওয়া উচিত নয়। এটি জল দিয়ে পাতলা করা উচিত। আপনি এটি আপনার স্যালাডে ড্রেসিং হিসেবে যোগ করতে পারেন, অথবা স্টার্চবিহীন সবজির উপরও মেশাতে পারেন। নিশ্চিত করুন যে আপনি যে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার কিনছেন তা জৈব এবং কাঁচা, যাতে এটি কার্যকর হয়।

পাতলা আপেল সিডার ভিনিগার (খাবারের আগে এক গ্লাস জলে ১ টেবিল চামচ) লিভারের ফ্যাট বিপাক উন্নত করতে পারে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এর অ্যাসিটিক অ্যাসিড রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ইনসুলিনের বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে যা লিভারে ফ্যাট জমাতে অবদান রাখে।

আধা গ্লাস জলে ১ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। আপনার খাবারের সঙ্গে এটি পান করুন যাতে অ্যাসিডিক পরিবেশ তৈরি হয় যা হজমশক্তি উন্নত করে। এই সহজ অভ্যাসটি চর্বি ভাঙনের উন্নতি করতে পারে, হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে পারে এবং অবশেষে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

মেটাবলিজম বাড়িয়ে বাড়তি ওজন কমানো, বদহজমের সমস্যা দূর, ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা, হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখা-সহ একাধিক উপকারিতায় অব্যর্থ অ্যাপল সিডার ভিনিগার৷