কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন সঙ্গীতশিল্পী কেকে, সেখান থেকে হোটেল! তখনই কেকে-র শরীর অত্যন্ত খারাপ লাগছিল। লিফটে মাথা ঝুঁকিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শিল্পী। এরপর, হোটেলের ঘরে ঢুকে সোফায় বসতে গিয়েই মাটিতে পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, কেকে-র হৃদযন্ত্র প্রায় সাদা হয়ে গিয়েছিল, চারপাশে জমেছিল মেদের আস্তরণ। হৃদযন্ত্রের ভিতরের সব ভালভ অনেকটা শক্ত হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা বলছেন, এ-সমস্ত ‘ফ্যাটি হার্ট’-এর উপসর্গ।
কেক-র ভিসেরা রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে তিনি ১০ রকমের গ্যাস্ট্রিক ও লিভারের সমস্যার ওষুধ খেয়েছিলেন। এছাড়াও কিছু ভিটামিন সি ও অ্যান্টাসিড, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথি ওষুধও পাওয়া গিয়েছে তাঁর শরীরে। পুলিশ জানিয়েছেন, শিল্পীর হোটেল রুমের বাথরুম থেকেও কিছু অ্যান্টাসিডের পাতা উদ্ধার হয়। ৩১ মে সকালে নিজের ম্যানেজারকে কেকে বলেছিলেন, খুব ক্লান্ত বোধ করছেন। এমনকী মৃত্যুর দিন ফোনে নিজের স্ত্রীকেও বলেছিলেন, কাঁধে ও হাত ব্যাথায় টনটন করছে! চিকিৎসকরা মনে করছেন, হার্টের অস্বস্তিকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ভেবে ভুল করেই হয়তো মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খাচ্ছিলেন কেকে।
ফ্যাটি হার্ট রুখতে অবশ্যই নজর দিতে হবে ক্যালরি ঝরানোর দিকে। নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস রপ্ত করুন। হিসাব করে দেখুন, শরীরচর্চা করে যত ক্যালোরি ঝরাচ্ছেন, তার চেয়ে বেশি ক্যালরি কি শরীরে ঢুকছে খাবারের মাধ্যমে ? তাহলে কিন্তু বিপদ। শরীরের ক্যালরি ইনটেক যদি অতিরিক্ত বেড়ে যায়, সে-ক্ষেত্রে হার্টের চারপাশে মেদের আস্তরণ জমতে থাকে।
এবার বুঝবেন কী করে আপনি ফ্যাটি হার্টে আক্রান্ত? উপায় হল সিটি স্ক্যান করা! কিন্তু মানুষ তো আর নিত্যদিন সিটি স্ক্যান করে দেখেন না, হার্টে ফ্যাট জমেছে কী না।যদি হার্টের কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তখনই সিটি স্ক্যান করা হয়, এবং অনেক ক্ষেত্রেই ধরা পড়ে হার্টে ফ্যাট জমেছে! অথচ ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়ে গিয়েছে। তাই আগেভাগেই সতর্ক হন। নিয়মিত শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ক্যালরি ইনটেক ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করুন।