Fat Burning Food: ওটস-চিয়া সিডস নয়! গলগলিয়ে মেদ ঝরবে ডিম-আলু খেয়েই! ওজন কমিয়ে স্লিম ট্রিম হতে কামড় দিন লোভনীয় ৭ খাবারে

ওজন কমানোর কথা এলে আমরা প্রায়ই এলোমেলো টিপস অনুসরণ করতে শুরু করি। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে না; বরং, এটি প্রায়ই অন্যান্য সমস্যার দিকে নিয়ে যায়। আপনি যদি সত্যিই ওজন কমাতে চান, তাহলে বুঝতে হবে যে এতে কোনও জাদু জড়িত নয়। এর জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম অপরিহার্য। ব্যায়ামের পর, আপনাকে অবশ্যই এলোমেলো খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে এবং বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তারপর, একটি স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিন। বলছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল৷

যদি আপনি ওজন কমাতে চান, তাহলে প্রতিদিন এক থেকে দুটি ডিম খান। ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা অনুভূতি দেয়, যার অর্থ আপনি কম খাবেন এবং কম ক্যালোরি গ্রহণ করবেন। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন হ্রাস পাবে।

হালকা রান্না করা পালং শাক, কেল, কলার্ড গ্রিনস, ব্রকোলি এবং অনুরূপ সবজি খেলে ওজন কমবে এবং শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। আপনি যত বেশি সবুজ শাকসবজি খাবেন, ওজন কমাতে তত বেশি সাহায্য করবে।

ওজন কমানোর সময় যাতে আপনার শক্তি কমে না যায়, তার জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় মাছ অন্তর্ভুক্ত করুন। মাছে প্রোটিন বেশি থাকে এবং এটি স্বাস্থ্যকর চর্বির একটি ভালো উৎস।

ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম প্রয়োজন, আর ব্যায়ামের প্রয়োজন শক্তি। ওজন না বাড়িয়ে শক্তি অর্জনের জন্য, মুরগির ব্রেস্ট পিস একটি চমৎকার বিকল্প। এটি আপনার ওজন না বাড়িয়েই প্রচুর শক্তি সরবরাহ করে।

আলুকে অবহেলা করবেন না। যদি আপনি ওজন কমাতে চান, তাহলে প্রতিদিন রান্না করা বা সিদ্ধ আলু খান। ভাজা এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে ওজন বৃদ্ধি পাবে। আলুতে প্রচুর পুষ্টি থাকে যা শক্তি যোগায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

যারা ওজন কমাতে চান তাদের প্রতিদিন এক থেকে দুই বাটি ডাল খাওয়া উচিত। ছোলা, রাজমা এবং অন্যান্য ডাল প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা ওজন কমাতে সহায়ক।

যদিও অ্যাভোকাডো দামি হতে পারে, ওজন কমানোর জন্য এগুলো খুবই উপকারী। এতে হৃদরোগের জন্য স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন রয়েছে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।