Fairness Cream: ক্রিম মেখে কি সত্যিই ফর্সা হওয়া যায়? বিজ্ঞাপণের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বনাশ করছেন না তো? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জেনে নিন
- Published by:Ananya Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Souvik Roy
Last Updated:
Fairness Cream: বাজারে দেদার বিকোচ্ছে চীনা ফেয়ারনেস ক্রিম, যা ব্যবহারের ফলে চর্মরোগ এবং কিডনির মারণ রোগ মেমব্রানাস নেফ্রোপ্যাথি বাড়ছে। ফর্সা হওয়ার এই প্রবণতা জনস্বাস্থ্য সংকট তৈরি করছে বলে চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন।
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সুন্দর দেখাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বড় চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। শরীরের রং ফর্সা হলেই তিনি সুন্দর অথবা সুন্দরী। গায়ের রং নিয়ে এই চিন্তা ধারণার কারণে চিনে তৈরি ফেয়ারনেস ক্রিমে ছেয়ে গিয়েছে পুরো বীরভূম। কিন্তু ফর্সা ত্বক আর সুন্দর দেখতে গিয়ে যে শরীরের বারোটা বাজছে তা ভেবে দেখছেন না কেও। চিনা ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহারে বাড়ছে চর্মরোগ। যা ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে মারণ রোগের। ইদানীং ত্বকের নানা সমস্যা, ঘা নিয়ে ভুক্তভোগী রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে দাবি চিকিৎসক মহলের একাংশের।
advertisement
advertisement
advertisement
তাঁদের রূপবতী করে তুলতে গছিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন বেকোম্পানির চিনা ক্রিম। আর সেই সব ক্রিম এর চাহিদা থাকায় গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন মুদিখানার দোকানেও দেদার বিক্রি হচ্ছে এইসব ক্রিম। কারণ, এইসব ক্রিম মেখে দ্রুত ফর্সা হয়ে উঠছেন মহিলারা। তবে নিয়মানুযায়ী, এই সমস্ত ক্রিম বিক্রি করার জন্য নির্দিষ্ট লাইসেন্স লাগে। এমনকি বিভিন্ন ওষুধের দোকানদাররাও সেই লাইসেন্স ছাড়া এই ধরনের ক্রিম বিক্রি করতে পারেন না।
advertisement
কিন্তু সেই সমস্ত কথার তোয়াক্কা না করে দেদার বিক্রি হচ্ছে এই সমস্ত চিনা ক্রিম। যার বাজারও বেশ ভাল। তবে ত্বক ফর্সা করার জন্য এই সব ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহারের কারণে দিনের পর দিন ধরে চর্ম রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হঠাৎ করে ব্যবহার বন্ধ করলে ত্বক আরও কালো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ফেয়ারনেস ক্রিমের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারে মেমব্রানাস নেফ্রোপ্যাথি বেড়েই চলেছে।
advertisement
এটি এমন একটি রোগ যা সরাসরি কিডনি ফিল্টারকে আঘাত করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত করে। এমএন হল একটি অটোইমিউন রোগ যার ফলে নেফ্রোটিক সিনড্রোম হয়। এটি এমনই একটি কিডনি ব্যাধি যা প্রস্রাবের মাধ্যমে অত্যধিক প্রোটিন নির্গত করে দেয়। চিকিৎসকদের মতে, এই ক্রিম শুধু ত্বক বা কিডনির স্বাস্থ্যের সমস্যা নয়, এটি একটি জনস্বাস্থ্য সংকটও। তাই বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এই সমস্ত ক্রিম ব্যবহার না করার জন্য। (তথ্য: সৌভিক রায়)
