Relationship : দাম্পত্য সুখের হয় পরকীয়ার গুণে? এও কি সম্ভব?

বিয়ে ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল পরকীয়া৷ বিয়ের বাইরে সম্পর্কের কারণে কত যে সংসার ভেঙে পড়েছে তাসের ঘরের মতো, তার কোনও ইয়ত্তা নেই৷ কিন্তু শুধুই নেতিবাচক দিক? বিবাহকালীন এর বাইরে সম্পর্কেক কি কোনও সদর্থক দিক নেই?

বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, আছে৷ তাঁদের মে, আপাত ভাবে বিয়ে ভাঙার জন্য পরকীয়াকে দায়ী করা হলেও আসলে ভেঙে পড়া বিয়ের ফাঁকফোঁকড় গলেই উঁকি দেয় অন্য সম্পর্ক৷ তাই মাঝে মাঝে অন্য সম্পর্কের জন্য বরং পুরনো দাম্পত্য আরও মজবুত হয়৷

বেশিরভাগ দাম্পত্যেই দেখা যায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আকর্ষণ চলে যায় সঙ্গীর উপর থেকে৷ কারণ সঙ্গীর কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার ইচ্ছেও হারিয়ে ফেলেন৷ এই সময়ে জীবনে অন্য কেউ এলে তাঁর কাছে বরং নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে ইচ্ছে করে ৷ তার ফলে ভাল লাগা আসতে পারে দাম্পত্যের সঙ্গীর মনেও৷

দাম্পত্যের মধ্যে সময়ের স্রোতে ক্রমশই বাড়তে থাকে কর্কশতার বোঝা৷ দায়িত্বের চাপে হারিয়ে যায় প্রেমের কোমল ও সুখকর অনুভূতি৷ নতুন প্রেমের সম্পর্কে সেই পেলবতা ফিরে আসে চলনে, মননে ও শরীরী ভাষায়৷ ফলে সেই চেনা আপনি হয়ে ওঠেন নতুন আমি৷

সব সময় জীবনসঙ্গীর ভুল খুঁজতে থাকা আপনার চোখে পড়তে পারে প্রেমিক বা প্রেমিকার দোষগুণও৷ তখন বুঝতে পারবেন কোনও মানুষই নিখুঁত নন৷ দোষ গুণ মিলিয়েই ভালবাসতে হয়৷ হয়তো তার ফলে কিছুটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে পারেন জীবনসঙ্গীর মধ্যে আপনার অপছন্দের জিনিসগুলিকেও৷

সংসার মানেই দায়িত্ব৷ মাঝে মাঝে তৈরি হতে পারে দমবন্ধ করা পরিবেশও৷ সেখানে পরকীয়াতে দায়িত্বের চাপ নগণ্য৷ বরং ভালবাসার মুক্ত পরিবেশ অনেক বেশি৷ সেই ভালবাসার বারান্দায় দাঁড়লে মনও হাল্কা লাগে৷ এই বাড়তি ব্রিদিং স্পেস নিজের জন্য জরুরি৷

অনেক সময় পরকীয়াই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে আপনার কাছে বিয়ে ও সংসার দুটোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ ফলে আপনি নতুন উদ্যমে আবার মন দিতে পারেন সংসারে৷

জীবনে নতুন প্রেম এলে শরীরে ফিল গুড হরমোন বেশি তৈরি হয়৷ ফলে ভাললাগার আবেশ আপনাকে গ্রাস করে ৷ এই ভাললাগা আপনাকে অক্সিজেন দেয় ৷

তবে মনে রাখবেন, বিপরীত লিঙ্গে বন্ধুত্ব মানেই পরকীয়া নয়৷ পরকীয়া মানেই শরীরী সম্পর্ক নয়৷ সম্পর্কে ফাটল থাকলে তবেই তৃতীয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ঘটে৷ পরকীয়া মানেই যেমন বিয়ে ভেঙে যাওয়া নয়, আবার বিয়ে ভাঙার দাওয়াই-ও নয় পরকীয়া৷ দাম্পত্য বা সংসার যা-ই হোক না কেন, দু’জনকেই ইচ্ছুক হতে হবে সেটা বাঁচিয়ে রাখার জন্য৷