Darjeeling Offbeat Destination: শহরের কোলাহল ছেড়ে পাহাড়ের কোলে দু’দিন, বড়দিনে ঘুরে আসুন থাপাগাঁও, কোথায় থাকবেন? কী কী দেখবেন? জানুন
- Published by:Shubhagata Dey
- hyperlocal
- Reported by:Ricktik Bhattacharjee
Last Updated:
Darjeeling Offbeat Destination: শীত পড়তেই বেড়ানোর পরিকল্পনা শুরু করেন অনেকেই। ভিড় এড়িয়ে যদি নিরিবিলি পাহাড়ি গ্রামে কিছুটা সময় কাটাতে চান, তবে দার্জিলিং জেলার থাপাগাঁও হতে পারে আদর্শ গন্তব্য। বিজনবাড়ির অদূরে অবস্থিত এই গ্রাম পাহাড়ের কোলে শান্ত পরিবেশ, খোলা প্রকৃতি আর ধীর গতির জীবনের স্বাদ এনে দেয়।
*দার্জিলিং: শীত পড়তেই বেড়ানোর পরিকল্পনা শুরু করেন অনেকেই। ভিড় এড়িয়ে যদি নিরিবিলি পাহাড়ি গ্রামে কিছুটা সময় কাটাতে চান, তবে দার্জিলিং জেলার থাপাগাঁও হতে পারে আদর্শ গন্তব্য। বিজনবাড়ির অদূরে অবস্থিত এই গ্রাম পাহাড়ের কোলে শান্ত পরিবেশ, খোলা প্রকৃতি আর ধীর গতির জীবনের স্বাদ এনে দেয়। ব্যস্ত শহরজীবন থেকে দূরে সরে শীতের ছুটিতে একটু স্বস্তি পেতেই এখন পর্যটকদের নজরে আসছে থাপাগাঁও।
advertisement
*ভিড়ঠাসা পর্যটনকেন্দ্রের তুলনায় থাপাগাঁও আজও অনেকটাই নির্জন। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা, সবুজে ঘেরা গ্রাম, স্থানীয় মানুষজনের সহজ-সরল জীবনযাপন—সব মিলিয়ে এখানকার পরিবেশ মন ছুঁয়ে যায়। শীতের দিনে হালকা ঠান্ডার সঙ্গে মেঘ-কুয়াশা না থাকলে দূর থেকে চোখে পড়ে দার্জিলিং শহরের কিছুটা অংশও। পাহাড়ি গ্রামগুলির চেনা ছন্দেই এখানে সময় যেন একটু ধীরে চলে।
advertisement
*থাপাগাঁওয়ে ঘুরে দেখার বড় আকর্ষণ হল প্রকৃতির খুব কাছাকাছি চলে যাওয়ার সুযোগ। খানিকটা হাঁটলেই পৌঁছে যাওয়া যায় ছোট রঙ্গিত নদীর ধারে। পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা নদীর শব্দ, তার সঙ্গে পাখির ডাক, সব মিলিয়ে এক শান্ত অনুভূতি তৈরি করে। পাহাড়ি পথে হেঁটে নিজের মতো করে গ্রাম আর আশপাশের প্রকৃতি আবিষ্কার করাটাই এখানে বেড়ানোর মূল আনন্দ।
advertisement
*যাঁরা দিন-দুয়েক কিছু না করে শুধু বিশ্রাম নিতে চান, তাঁদের জন্য থাপাগাঁও একেবারেই উপযুক্ত। গ্রামে একাধিক হোমস্টে রয়েছে, যেখানে বিলাসিতা না থাকলেও প্রয়োজনীয় সব সুবিধা পাওয়া যায়। স্থানীয় মানুষজনের হাতের গরম-গরম ঘরোয়া খাবার শীতের দিনে বাড়তি তৃপ্তি দেয়। চাইলে কাছাকাছি বিজনবাড়ি, মেগিটার, ঝেঁপি কিংবা দার্জিলিং ঘুরে নেওয়ার সুযোগও রয়েছে।
advertisement
*যোগাযোগের দিক থেকেও থাপাগাঁও পৌঁছনো বেশ সহজ। দার্জিলিং থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে এই গ্রামে পৌঁছতে সময় লাগে আনুমানিক দু’ঘণ্টা। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দূরত্ব প্রায় ১০৬ কিলোমিটার। ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি এসে সেখান থেকে গাড়িতে থাপাগাঁও যাওয়া যায়। বিমানে এলে বাগডোগরা বিমানবন্দরই নিকটতম। শীতের মরসুমে নির্জন পাহাড়ে নির্ভার ঘোরাঘুরির জন্য থাপাগাঁও ক্রমেই হয়ে উঠছে নতুন ঠিকানা।






