ভুল করেও এই সমস্ত বাসনে দই কখনওই রাখবেন না, তাহলে হতে পারে বড় বিপদ...! রইল কিছু জরুরি টিপস
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
আসলে অনেকে না জেনে দই পাতার জন্য এমন বাসন ব্যবহার করেন, যা বিপদ পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। মনে রাখা আবশ্যক যে, দই পাতার জন্য পিতল এবং তামার বাসনকোসন ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ এই ধাতু স্বাস্থ্যোপযোগী দইকেও বিষে পরিণত করতে পারে।
ভারতীয়দের রান্নাঘরের অত্যন্ত পছন্দের উপকরণ হল দই। যে কোনও রান্নায় তো স্বাস্থ্যকর এই উপকরণ ব্যবহৃত হয়ই, সেই সঙ্গে দইয়ের ঘোল, দইয়ের শরবতও গরমের দিনে ভীষণই উপাদেয়। গরমের সময় শরীর ঠান্ডা রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার! এমনকী, পরিপাক ক্রিয়ার জন্যও অত্যন্ত উপকারী দই। ফলে গ্রীষ্মের মরশুমে এর চাহিদাও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। অনেকে বাইরে থেকে বাজারজাত দই না কিনে বরং ঘরে পাতা দইয়ের উপরেই বেশি ভরসা করেন। ফলে নিয়মিত দই পেতে রাখেন তাঁরা। কিন্তু দই পাতার জন্য সঠিক বাসন ব্যবহার করা হচ্ছে তো? তাহলে এই কাজের জন্য কেমন ধরনের বাসন ব্যবহার করা উচিত? (Representative Image)
advertisement
আসলে অনেকে না জেনে দই পাতার জন্য এমন বাসন ব্যবহার করেন, যা বিপদ পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। মনে রাখা আবশ্যক যে, দই পাতার জন্য পিতল এবং তামার বাসনকোসন ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ এই ধাতু স্বাস্থ্যোপযোগী দইকেও বিষে পরিণত করতে পারে। কিন্তু কেন? আসলে তামা এবং পিতলের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে অ্যাসিড-ধর্মী উপাদান দই। (Representative Image)
advertisement
যেহেতু দইয়ের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে। ফলে যখন এই সমস্ত ধাতুর পাত্রেদই পাতা হয়, তখন রাসায়নিক বিক্রিয়ার জেরে কপার সালফেট অথবা অন্যান্য বিষাক্ত যৌগ তৈরি হয়। এই ধরনের যৌগ যখন দেহের মধ্যে প্রবেশ করে, তখন তার বিষাক্ত প্রভাব শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। যার জেরে পেট ব্যথা, বমি, গা-গোলানো, মাথা ব্যথা পর্যন্ত হতে পারে। এমনকী গুরুতর সমস্যা হিসেবে অনেক সময় ফুড পয়জনিং পর্যন্ত হতে পারে। (Representative Image)
advertisement
advertisement
তাহলে দই পাতার জন্য কেমন ধরনের বাসন ব্যবহার করা উচিত? বিশেষজ্ঞদের মতে, দই পাতার জন্য কাঁচ, মাটি, সেরামিক অথবা স্টিলের বাসন ব্যবহার করা উচিত। আসলে এই ধরনের বাসন দইয়ের রাসায়নিক উপাদানকে অক্ষুণ্ণ রাখে এবং ক্ষতিকর কোনও বিক্রিয়া করে না। তাই পরবর্তীকালে দই পাতার জন্য বুঝেশুনে বাসন ব্যবহার করতে হবে। কারণ গাফিলতি কিংবা সচেতনতার অভাব কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ঘোর বিপদ ডেকে আনতে পারে। সঠিক তথ্য এবং সঠিক অভ্যাসই আমাদের সুস্থ রাখতে পারে। (Representative Image)
advertisement