Vitamin Deficiency to cause Cracked Heels: খেতে হবে পালং শাক, বাদাম, পেয়ারা... কোন ভিটামিনের অভাবে শীতে গোড়ালি ফাটে জানুন!
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- news18 bangla
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Vitamin Deficiency to cause Cracked Heels: ফাটা গোড়ালি কোনও ছোটখাটো সমস্যা নয় বরং পুষ্টির অভাবের লক্ষণ। যদি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয়, তাহলে এই সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করা যেতে পারে। নিয়মিত পা পরিষ্কার করা, ময়শ্চারাইজিং করা এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার স্বাস্থ্যকর এবং সুন্দর গোড়ালি পুনরুদ্ধার করতে পারে।
শীতের আগমনে ফাটা গোড়ালি একটি সাধারণ সমস্যা। বেশিরভাগ মানুষই এগুলিকে উপেক্ষা করে, তবে এটি নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাবের লক্ষণও হতে পারে। সঠিক তথ্য এবং ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে, এই সমস্যাটি সহজেই সমাধান করা যেতে পারে। ঋষিকেশের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ রাজকুমার বলেন যে ফাটা গোড়ালি কোনও ছোটখাটো সমস্যা নয় বরং পুষ্টির অভাবের লক্ষণ। যদি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয়, তাহলে এই সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করা যেতে পারে। নিয়মিত পা পরিষ্কার করা, ময়শ্চারাইজিং করা এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার স্বাস্থ্যকর এবং সুন্দর গোড়ালি পুনরুদ্ধার করতে পারে।
advertisement
ডাঃ রাজকুমার ব্যাখ্যা করেন যে, পা ফাটার একটি প্রধান কারণ হল ভিটামিন ই-এর অভাব। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ভিটামিন ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ত্বকের কোষগুলিকে মেরামত করতে এবং নরম রাখতে সাহায্য করে। শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং পা ফাটে। এই অভাব পূরণের জন্য, খাদ্যতালিকায় বাদাম, সূর্যমুখী বীজ, পালং শাক, অ্যাভোকাডো এবং জলপাই তেল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এটি ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায় এবং নরম রাখে।
advertisement
ভিটামিন সি-এর অভাবও পায়ের গোড়ালি ফাটার একটি প্রধান কারণ। ডাঃ রাজকুমারের মতে, এই ভিটামিন কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং শক্তি প্রদান করে। শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা কমে গেলে ত্বক দুর্বল এবং শুষ্ক হয়ে যায়, যার ফলে পায়ের গোড়ালি ফাটা দেখা যায়। এই অভাব কাটিয়ে উঠতে আপনার খাদ্যতালিকায় লেবু, কমলা, আমলকী, পেয়ারা এবং টমেটোর মতো ফল অন্তর্ভুক্ত করুন। প্রতিদিন ভিটামিন সি গ্রহণ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং স্বাস্থ্যকর গোড়ালি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
advertisement
ভিটামিন বি৩, যা নিয়াসিন নামেও পরিচিত, ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। ডাঃ রাজকুমার ব্যাখ্যা করেন যে এর অভাবের ফলে ত্বক শুষ্কতা, চুলকানি এবং ফাটল দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে গোড়ালির ত্বক শক্ত এবং ফাটা হয়ে যেতে পারে। এই অভাব পূরণের জন্য ডাল, চিনাবাদাম, মুরগির মাংস, মাছ এবং ডিমের মতো খাবার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এগুলি কেবল ভিটামিন বি৩ এর ভালো উৎসই নয় বরং ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। পর্যাপ্ত নিয়াসিন গ্রহণ ধীরে ধীরে ফাটা গোড়ালি নিরাময় করতে পারে।
advertisement
ডাঃ রাজকুমার বলেন যে ডিহাইড্রেশন হল গোড়ালি ফাটার একটি সাধারণ কারণ। যখন আমরা পর্যাপ্ত জল পান করি না, তখন ত্বক আর্দ্রতা হারায়, যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। তাই, সারাদিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে গোড়ালিতে নারকেল তেল বা গ্লিসারিন লাগানো পায়ের যত্নের জন্য উপকারী। এটি ত্বককে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা প্রদান করে এবং ফাটা সারাতে সাহায্য করে।
advertisement
ফাটা গোড়ালি দূর করার জন্য কিছু সহজ ঘরোয়া প্রতিকার খুবই কার্যকর। ডাঃ রাজকুমারের মতে, প্রথমে আপনার পা হালকা গরম জলে সামান্য লবণ বা লেবু দিয়ে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এতে মৃত চামড়া দূর হয়ে যায়। এরপর, আপনার গোড়ালিতে ভ্যাসলিন, অ্যালোভেরা জেল বা নারকেল তেল লাগান এবং সুতির মোজা পরুন। প্রতিদিন রাতে এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করলে কয়েক দিনের মধ্যে দৃশ্যমান পার্থক্য দেখা যাবে, আপনার গোড়ালি নরম এবং মসৃণ থাকবে।
advertisement
ডাঃ রাজকুমার বলেন, যদি আপনি ফাটা গোড়ালি থেকে স্থায়ী মুক্তি পেতে চান, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা অপরিহার্য। আমলকী, পালং শাক, টমেটো, গাজর, ডিম, মাছ এবং দুধের মতো খাবার ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার, যেমন তিসির বীজ এবং আখরোট, ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। নিয়মিত এই খাবারগুলি গ্রহণ করলে কেবল ফাটা গোড়ালিই ঠিক হয় না বরং ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতাও পুনরুদ্ধার হয়।
