Cholesterol Control Tips: ওষুধ ভুলে যান, এই ৬ প্রাকৃতিক উপায়তেই কেল্লাফতে! রক্ত থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করবে খারাপ কোলেস্টেরল, হার্ট থাকবে সুস্থ
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Cholesterol Control Tips: কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। ওষুধ ছাড়াও কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে কোলেস্টেরল কমানো যায়। ফাইবারযুক্ত খাবার, রসুন, ব্যায়াম, ফিশ অয়েল ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে হার্টকে সুস্থ রাখা সম্ভব, বিস্তারিত জানুন...
আজকাল অনেক মানুষ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের বড় কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সাধারণত মানুষ ওষুধের মাধ্যমে একে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন, তবে যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা হালকা বা মাঝারি হয়, তাহলে কিছু প্রাকৃতিক উপায়েও এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
advertisement
advertisement
ফাইবারযুক্ত খাবার খান: খাদ্যতালিকায় দ্রবণীয় ফাইবার অন্তর্ভুক্ত করা খুব উপকারী। এটি শরীরে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) হজম হতে না দিয়ে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। ওটস, আপেল, গাজর, বিনস, মসুর ডাল, মিষ্টি আলু, অ্যাভোকাডো ও বাদাম এগুলোর মধ্যে ভালো পরিমাণে ফাইবার থাকে। প্রতিদিন এক বাটি ওটস বা ইসবগুলের ভুসি খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
advertisement
advertisement
মদ্যপান এড়িয়ে চলুন: যদি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাহলে অ্যালকোহলের পরিমাণ কমান বা পুরোপুরি ছেড়ে দিন। মদ কেবল কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ায় না, বরং ওজন ও রক্তচাপও বাড়ায়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রায় পুরোপুরি মদ্যপান ছেড়েছেন, তাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি ২৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।
advertisement
ফিশ অয়েল খান: ফিশ অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে এবং প্রদাহ হ্রাসে সহায়তা করে। যদিও এটি সরাসরি খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায় না, তবে হৃদয়ের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। আপনি চাইলে এটি সাপ্লিমেন্ট আকারে নিতে পারেন বা ডায়েটে ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ যেমন স্যামন বা ম্যাকারেল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
advertisement
রসুন ব্যবহার করুন: রসুনে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে কোলেস্টেরলের শোষণ কমিয়ে দেয়। অনেক গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, রসুন কিছুটা হলেও খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে। আপনি রসুন রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন বা সাপ্লিমেন্ট হিসেবেও নিতে পারেন। যদিও এর প্রভাব সীমিত, তবে স্বাস্থ্যকর ডায়েটের সঙ্গে এটি কার্যকর হতে পারে।
advertisement
স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট এড়িয়ে চলুন: যদি কোলেস্টেরল কমাতে চান, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকা থেকে কিছু বিশেষ ধরনের চর্বি বাদ দিতে হবে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট যেমন মাটন, গরুর মাংস, মালাইযুক্ত দুধ, ঘি, মাখন, নারকেল তেল ও পাম অয়েলে থাকে। এসব কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। ট্রান্স ফ্যাট আরও ক্ষতিকর—এটি কেক, বিস্কুট, প্যাকেটজাত খাবার ও ফাস্ট ফুডে থাকে। এটি কেবল খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায় না, বরং ভালো কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়।
advertisement
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন: কোলেস্টেরলের সমস্যা অনেক সময় লক্ষণ ছাড়াই হতে পারে। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরীক্ষা করানো দরকার। বিশেষ করে আপনার বয়স যদি ২১ বছরের ওপরে হয়, তাহলে প্রতি ৪-৬ বছর অন্তর রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করানো উচিত। যদি পারিবারিক ইতিহাস বা অন্য কোনও ঝুঁকি থাকে, তাহলে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চেকআপ করান।
advertisement
advertisement
advertisement