Child Lying Tendency: চোখে-মুখে মিথ্যে কথা! আপনার সন্তানের কি ঠোঁটের ডগায় মিথ্যে ঝুলছে? কী করবেন জানুন
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Child Lying Tendency: আপনার সন্তানের মুখে কি মিথ্যে কথার ফুলঝুরি? চোখে-মুখে ঠোঁটের ডগায় মিথ্যে লেগে থাকে? সাবধান হোন।
আপনার সন্তানের মুখে কি মিথ্যে কথার ফুলঝুরি? চোখে-মুখে ঠোঁটের ডগায় মিথ্যে লেগে থাকে? সাবধান হোন। এক্ষেত্রে কিন্তু কড়া শাসন করলে চলবে না, মারধোর করা তো নয়ই! ভুলে গেলে চলবে না যে বড় আর ছোটদের জগতের মধ্যে কিন্তু বিস্তর ফারাক রয়েছে। (প্রতীকী ছবি) (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
advertisement
মিথ্যা কথা বলাটা অপরাধ, কিন্তু শিশুদের কাছে ওই সাদাকালোর বিভাজনটা অন্য রকম। অনেক শিশুই অকারণ মিথ্যে বলে। কিন্তু এর পাশাপাশি প্রত্যেক অভিভাবককে ভাবতে হবে যে, হঠাৎ করে শিশুর মিথ্যে কথা বলার প্রয়োজন পড়ছে কেন সেদিকটাও। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
শিশুদের বড় হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিয়ে যে সমস্যাগুলি অভিভাবকরা মূলত সম্মুখীন হন, তার মধ্যে সন্তানের মিথ্যা কথা বলা খুবই সাধারণ, কিন্তু অবশ্যই চিন্তার। মনোবিদদের মতে, বকুনির ভয়ে মিথ্যা বলা দিয়েই এই অভ্যাস বাসা বাঁধে শিশুদের স্বভাবে। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
সমীক্ষা বলছে ২ থেকে ৪ বছরের বাচ্চারা গুছিয়ে মিথ্যে কথা বলতে ভালোবাসে। এদিকে মিথ্যে বলছে মানেই বাবা-মার চিন্তা বাড়ছে। তাঁরা ভাবছেন এই বয়স থেকেই এত্ত পাকা! স্বভাবতই এমন পরিস্থিতিতে বাচ্চার উপর চলে বকাঝকা, জোটে মারও। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিথ্যে কথা বলার মধ্যে দিয়েই কিন্তু বাচ্চাদের প্রথম বুদ্ধির বিকাশ হয়। তারা তাদের মনের ভাব গুছিয়ে প্রকাশ করতে শেখে। তাই ছোট বয়সে মিথ্যে কথা বলার অভ্যেস থাকলে তা মোটেই খারাপ নয়। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
তবে কোনও কোনও সময় মা-বাবা এই স্বভাবকে অবহেলা করে গেলেও তা পরে বড়সড় আকার ধারণ করে। শুধু তাই-ই নয়, কথায় কথায় মিথ্যা বলার এই স্বভাব শিশুর জীবনেও নানা ক্ষতি করে, ছোট থেকেই তা রুখে না দিলে এই অভ্যাস খুব বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
রোজের জীবনে মাঝে মাঝে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়, কিন্তু তা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। শুধু তা-ই নয়, শিশুরা যেহেতু ঘটনার গুরুত্ব বোঝে না, তাই এই সমস্যা নিয়ে প্রথম থেকেই সচেতন না হলে, ছোটবড় সব বিষয়েই তাদের মিথ্যা বলার প্রবণতা বাড়ে। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
মনোবিদের মতে, শিশুরা অনেক সময় মনোযোগ আকর্ষণ করতে মিথ্যা বলে, কখনও বা কল্পনার আশ্রয় নিয়ে আবার কখনও বকুনির ভয়ে মিথ্যা বলতে বাধ্য হয় তারা। অনেক সময় তার ছোটখাটো মিথ্যা অভিভাবকরা বিশেষ গুরুত্ব না দিলে সে মিথ্যে বলাটাকে অপরাধের মধ্যেই ধরে না। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
তাহলে কী করবেন? আপনার সন্তানেরও এমন স্বভাব হলে কী করলে ঠিক হবে? বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শিশুকে প্রথম থেকেই গল্পের ছলে মনীষীদের জীবনী, ঈশপের নানা গল্প, নীতিকথা শেখান। বড় মানুষরা কেউ মিথ্যা পছন্দ করতে না অথবা মিথ্যা বিষয়টা খুব একটা গ্রহণীয় নয়, এই ধারণা মনের মধ্যে প্রবেশ করান। শিশুদের সামনে যতটা সম্ভব মিথ্যা এড়িয়ে চলুন। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
শিশুরা অভিভাবকদের থেকেই সবচেয়ে বেশি শেখে। তাই পারিবারিক নানা কারণে বানিয়ে বলা, মিথ্যা এড়িয়ে চলুন। মিথ্যা বলা কতটা খারাপ কিংবা আপনাদের বাড়ির সকল সদস্যরা এই মিথ্যা বলাকে কতটা ঘৃণা করেন এমন একটা স্পষ্ট ধারণা দিন। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
স্কুল থেকে ফিরলে বা কোনও বন্ধুর সঙ্গে মিশলে, লক্ষ রাখুন তার চারপাশের বন্ধুরা কেমন। তাদের মধ্যে কারও মিথ্যা বলার প্রবণতা থাকলে তা যেন আপনার শিশুকে প্রভাবিত করতে না পারে, সে বিষয়ে যত্নবান হোন। প্রয়োজনে মিথ্যা বলা শিশুটির অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলুন। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) (প্রতীকী ছবি)