Child Health Care: চকোলেট-আইসক্রিম-টফি বাচ্চাদের জন্য কখন বিপজ্জনক জানেন? বড় ক্ষতির আগে ডাক্তারের পরামর্শ জানুন
- Published by:Raima Chakraborty
- local18
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
Child Health Care: জন্মের পর ৫০০ দিন শিশুকে কোনও রকম মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো উচিত নয়। সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ।
বাড়ন্ত বাচ্চাদের খাওয়াদাওয়াটাই আসল। বিশেষ করে ২ বছর বয়স পর্যন্ত। এমনটাই বলছেন ইন্দোরের বিখ্যাত দন্ত চিকিৎসক ডাঃ বিশাল খান্ডেলওয়াল। তাঁর মতে, চিনি থেকে শিশুদের দূরে রাখতে হবে। তবেই স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, দাঁত মজবুত হবে।
advertisement
জন্মের পর ৫০০ দিন শিশুকে কোনও রকম মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো উচিত নয়। সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মিষ্টি খাওয়ার ফলে অনেক গুরুতর রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমনটাই বলছেন ডাঃ বিশাল খান্ডেলওয়াল।
advertisement
বড়রা তো বটেই, চকোলেট, চিপস বা প্যাকেটজাত খাবার খেতে শিশুরাও খুব ভালবাসে। এই সব খাবারে চিনি এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসয়নিক থাকে। অল্প বয়স থেকে চিনি খাওয়ার অভ্যাস হয়ে গেলে দাঁতের ক্ষতি হয়। ডাঃ বিশাল খান্ডেলওয়াল বলছেন, অনেক মা-বাবাই ৬ মাস বয়স থেকে শিশুকে মিষ্টি জাতীয় খাবার দেন। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
advertisement
মার্কিন মুলুকের চিকিৎসকরাও একই কথা বলছেন। এই নিয়ে একাধিক গবেষণাও হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, শিশুদের দেড় বছর বয়স পর্যন্ত বা জন্মের পর প্রথম ৫০০ দিন চিনি থেকে দূরে রাখলে দাঁতের ক্ষয়, ক্যাভিটি, মাড়ির সমস্যা অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। চিনির কারণেই ইদানীং শিশুদের মধ্যে দাঁতের সমস্যা এবং ডায়াবেটিস দেখা দিচ্ছে।
advertisement
দুধের দাঁতের গুরুত্ব: শিশুর যখন প্রথম দাঁত ওঠে, তার যথাযথ যত্ন নিতে হয়। দুধের দাঁত খারাপ হলে তার স্থায়ী প্রভাব পড়ে। পরবর্তীকালে দাঁতের গঠন খারাপ হতে পারে। তাই শিশুদের বোতলের বদলে বাটি বা গ্লাসে দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি খাওয়ার পর কুলকুচি করতে হবে। এতে দাঁত ভাল থাকবে।
advertisement
পিজ্জা, বার্গার এবং অন্যান্য জাঙ্ক ফুডে অত্যধিক মাত্রায় চিনি, ফ্রুক্টোজ, রাসায়নিক এবং প্রিজারভেটিভ থাকে, যা শিশুদের দাঁত ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড ও চিনি খাওয়ার কারণে পাল্পেকটোমির মতো দাঁতের সমস্যাও বাড়ছে। অনেক সময় ক্ষয় এতটাই গভীর হয় যে রুট ক্যানেল পর্যন্ত করতে হয়।
advertisement
advertisement
কুলকুচি – রাতে দুধ খাওয়ার অবশ্যই কুলকুচি করাতে হবে, যাতে দুধ এবং চিনির অ্যাসিডের প্রভাব দাঁতের উপর না পড়ে।
advertisement
advertisement
নিয়মিত পরীক্ষা – সময়ে সময়ে দন্ত চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে গিয়ে শিশুদের দাঁতের পরীক্ষা করানো উচিত যাতে কোনও ক্ষয় বা সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসা করা যায়।
advertisement