Cancer: শুধুমাত্র রোগ নয়, গোটা শরীরের চিকিৎসা; ক্যানসারের চিকিৎসায় ইন্টিগ্রেটিভ সায়েন্সের ভবিষ্যৎটা ঠিক কেমন? শুনে নিন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে

ক্যানসার আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রচলিত না কি ঐতিহ্যগত - কোন ওষুধটা বেছে নেওয়া উচিত, সেটা নিয়ে মনে একটা দোলাচল তৈরি হয়। যদিও ইন্টিগ্রেটিভ উপায়ই চিকিৎসার ভাল পন্থা। কারণ ইন্টিগ্রেটিভ উপায়টির মধ্যে প্রচলিত এবং ঐতিহ্যগত ওষুধ - দুইই পড়ে।

ক্যানসার শুধুমাত্র একটা মেডিক্যাল ডায়াগনোসিসই নয়। এটা আসলে শারীরিক, মানসিক এবং সংবেদনশীল জটিলতা বিশিষ্ট একটি জটিল অসুখ। এই বিষয়ে সমস্ত খুঁটিনাটি ভাগ করে নিলেন সিকে বিড়লা হাসপাতালের আর্ট অফ হিলিং ক্যানসার এবং ডিরেক্টর অঙ্কোলজির চিফ মেন্টর ডায় মনদীপ সিং মালহোত্রা (Dr. Mandeep Singh Malhotra, Chief Mentor: Art of Healing Cancer and Director Oncology, CK Birla Hospital)। Representative Image

পরস্পর নির্ভরশীল কারণগুলি- যে কোনও কারও ক্যানসার হতে পারে। যদিও এই রোগের একটি শারীরবৃত্তীয় ভিত্তি রয়েছে। মানসিক এবং পরিবেশগত কারণগুলিও এর সূত্রপাতের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে। ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর একাধিক ধরনের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। ক্যানসার হল কোষের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন। যা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। Representative Image

প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম হতে পারে সাইটোটক্সিক কেমোথেরাপি, সার্জারি এবং রেডিয়েশন থেরাপি। এই চিকিৎসার উপায়গুলি কিন্তু সক্রিয় ভাবে ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে দিতে পারে। যদিও এটা কিন্তু স্বাভাবিক কোষকেও নষ্ট করে দেয়। একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়। সেগুলিই নিম্নলিখিত:

সার্জারি: সম্ভাব্য বিকৃতি, অঙ্গ ক্ষয় এবং কার্যকারিতা হ্রাস। কেমোথেরাপি: লো ব্লাড কাউন্ট, গা-গোলানো, চুল ঝরে যাওয়া, ত্বকের পরিবর্তন, পরিপাক সংক্রান্ত সমস্যা (ডায়েরিয়া, বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য) এবং ঘুমের সমস্যা।

রেডিয়েশন থেরাপি: ফাইব্রোসিস, স্কারিং বা ক্ষত, ত্বকের বিবর্ণতা এবং আক্রান্ত অংশে কার্যকারিতা হ্রাস ৷ অন্য দিকে, গবেষণায় জানা যাচ্ছে যে, ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন এবং নিউট্রাসিউটিক্যাল অস্বাভাবিক জিনোমিক পথকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্যানসার কোষের বিকৃত বিপাক পরিবর্তন করার মাধ্যমে কাজ করে।

প্রতিস্থাপন নয়, পরিপূরক: নিউট্রাসিউটিক্যালের নমুনা এবং ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার সম্ভাবনা: কারকিউমিন (হলুদে পাওয়া যায়): TP53 জিনকে আপরেগুলেট করে শরীরের মিউটেশন মেরামত প্রক্রিয়া উন্নত করে, যা ক্যানসারজনিত বৃদ্ধি রোধের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মস্তিষ্ক ও ঘাড়ের ক্যানসার, ট্রিপল নেগেটিভ ব্রেস্ট ক্যানসার এবং ওভারিয়ান ক্যানসারের জন্য উপযোগী।

ভিটামিন সি (সাইট্রাস ফলে উপস্থিত): কম ডোজের ক্ষেত্রে এটা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে। হাই ডোজের ক্ষেত্রে এটি প্রো-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা কেমোথেরাপির কার্যকারিতা বাড়ায় এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায়।

সালফোরাফেন (ব্রোকোলি এবং ফুলকপিতে উপস্থিত): ক্যানসার কোষে প্রদান কমায়, ক্যানসার ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ করে। এটা আবার TGF-β পাথওয়েকে টার্গেট করে।

রেসভেরাট্রল (বেরি এবং রেড ওয়াইনে উপস্থিত): hTERT পাথওয়ে-তে কাজ করে, ক্যানসার স্টেম সেলের কার্যকলাপ হ্রাস করে। যার ফলে পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি হ্রাস পায়।

বার্বেরাইন (হলুদ শিকড় এবং বেরিতে মেলে): প্রাকৃতিক ইমিউনোথেরাপি হিসেবে কাজ করে। যা টার্গেট করে PD-1/PD-L1 রিসেপ্টর এবং PI3KCA-mTOR পাথওয়েকে টার্গেট করে।

সতর্কতার সঙ্গে ইন্টিগ্রেটিভ সায়েন্সের প্রয়োগ: যদিও ক্যানসার চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা দেখা যায় নিউট্রাসিউটিক্যালসের মধ্যে। তবুও এর প্রয়োগ অবশ্যই সাবধানতার সঙ্গে পরিচালনা করা উচিত।