Food to cause Cancer: এই ১০ খাবার খেলে মারণদশা! ভয়ঙ্কর ক্যানসারে ঝাঁঝরা হবে শরীর! হাতছানি দেবে মৃত্যু!
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- news18 bangla
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Food to cause Cancer: জেনে নেওয়া যাক কোন গৃহস্থালির জিনিসপত্র ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
ক্যানসার আজও একটি বিশ্বব্যাপী সঙ্কট। যদিও অনেক চিকিৎসা পাওয়া যায়, তবুও যদি এটি উন্নত পর্যায়ে ধরা পড়ে তবে এর চিকিৎসা করা কঠিন হতে পারে। ক্যানসার মূলত অ্যালকোহল, সিগারেট এবং জিনের সাথে সম্পর্কিত৷ তবে এমন অনেক গৃহস্থালির জিনিসপত্র রয়েছে যা ক্যানসারে অবদান রাখতে পারে। আমাদের খাদ্যতালিকায় অনেক জিনিসই কার্সিনোজেনিক। প্রথমে জেনে নেওয়া যাক কোন গৃহস্থালির জিনিসপত্র ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। বলছেন পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা৷
advertisement
পরিশোধিত চিনি, মিষ্টির মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিষ: সাদা চিনি সরাসরি ক্যানসার সৃষ্টি করে না, তবে এটি দ্রুত শরীরে ইনসুলিন বৃদ্ধি করে। এটি প্রদাহ বৃদ্ধি করে এবং কোষগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি কোষগুলিকে অস্বাভাবিক এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধির জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করে। এটি ক্যানসার কোষের জন্য একটি উর্বর ভূমি তৈরি করে।
advertisement
কৃত্রিম মিষ্টি - খাদ্য-বান্ধব বা বিপজ্জনক: বাণিজ্যিকভাবে পাওয়া কৃত্রিম মিষ্টি যেমন অ্যাসপার্টেম এবং স্যাকারিন ক্যানসার সৃষ্টিকারী। প্রাণীজ গবেষণায় দেখা গেছে যে মিষ্টির সঙ্গে ক্যানসারের সম্পর্ক রয়েছে। যদিও মানুষের উপর এর কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই, অতিরিক্ত ব্যবহার শরীরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ব্যাহত করে ঝুঁকি বাড়ায়। আইসক্রিম, চকোলেট এবং ক্যান্ডিতে মিষ্টি ব্যবহার করা হয়।
advertisement
সোডা – মিষ্টি বুদবুদ, বিষাক্ত প্রভাব: কার্বনেটেড পানীয়, যা সোডা নামেও পরিচিত, এতে কৃত্রিম মিষ্টি বা চিনি এবং রাসায়নিক সংযোজন বেশি থাকে। এগুলিতে ব্যবহৃত ক্যারামেল রঙ 4-MEI নামক একটি রাসায়নিক থেকে তৈরি, যা একটি সম্ভাব্য কার্সিনোজেন হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। চিনি এবং অ্যাসিডিক উপাদানগুলি এগুলিকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে।
advertisement
advertisement
অতিরিক্ত অ্যালকোহল - WHO-এর স্পষ্ট বার্তা: WHO অ্যালকোহলকে গ্রুপ ১ কার্সিনোজেন হিসেবে ঘোষণা করেছে, যার অর্থ এটি মানুষের মধ্যে অবশ্যই ক্যান্সার সৃষ্টি করে। অ্যালকোহল ভেঙে অ্যাসিটালডিহাইড নামক একটি বিষাক্ত যৌগে পরিণত হয়, যা DNA-এর ক্ষতি করে। এটি সরাসরি মুখ, কোলন এবং স্তন ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত।
advertisement
মাইক্রোওয়েভ খাবার - তাপের চেয়ে বেশি প্যাকেজিংয়ের বিপদ: মাইক্রোওয়েভের বিকিরণ থেকে বিপদ নয়, বরং গরম করার জন্য প্রস্তুত খাবার থেকে। এগুলিতে প্রিজারভেটিভ, লবণ এবং কৃত্রিম স্বাদ বেশি থাকে। প্লাস্টিকের পাত্রে গরম করলে, থ্যালেটের মতো রাসায়নিক খাবারে প্রবেশ করতে পারে, যা সম্ভাব্যভাবে কার্সিনোজেনিক প্রভাব ফেলতে পারে।
advertisement
প্রক্রিয়াজাত মাংস - স্বাদের পিছনে ক্ষতিকারক সত্য: লাল মাংস ক্যানসার সৃষ্টিকারী হতে পারে। সসেজ, বেকন এবং সালামির মতো প্রক্রিয়াজাত মাংসে অতিরিক্ত নাইট্রেট এবং নাইট্রাইট থাকে। রান্না করলে, এগুলি নাইট্রোসামিনে রূপান্তরিত হয়, যা শরীরে ক্যানসার সৃষ্টিকারী প্রভাব ফেলে। WHO এগুলিকে গ্রুপ 1 কার্সিনোজেন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে, যার অর্থ এগুলি তামাক এবং অ্যাসবেস্টসের মতোই বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়।
advertisement
advertisement
জিএমও খাদ্য - খামার থেকে প্লেট পর্যন্ত ঝুঁকি: গ্লাইফোসেটের মতো রাসায়নিক পদার্থ জিনগতভাবে পরিবর্তিত (জিএমও) ফসলকে কীটপতঙ্গ এবং আগাছা প্রতিরোধী করে তুলতে ব্যবহৃত হয়। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (আইএআরসি) গ্লাইফোসেটকে কার্সিনোজেন হিসাবে ঘোষণা করেছে। দীর্ঘমেয়াদী সেবন শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
advertisement