এত ভাল ব্রেকফাস্ট আপনি অনেকদিন খাননি, দুর্বল শরীরে প্রাণ সঞ্চার করবে ! জেনে নিন কী করে বানাবেন দুবরি

Last Updated:
Mahua Dubhri: দেশের কোণে কোণে এমন কিছু ঐতিহ্যবাহী জলখাবারও আছে, যা পুষ্টিতে আর স্বাদে কোনও অংশে ন্যূন নয়। তেমনই এক খাবার হল দুবরি।
1/6
Report- Pintu Awasthi: ব্রিটিশ শাসন ধীরে ধীরে বদলে দিয়েছে এই দেশের অনেক কিছু। বিশেষ করে নবজাগরণের সময় থেকে এর প্রভাব চোখে পড়েছে খুব স্পষ্ট এবং তীব্র ভাবে। ভারতীয়দের এক শ্রেণী তখন নিজেদের সব কিছুতেই খুঁত খুঁজে পাচ্ছেন, রপ্ত করছেন বিদেশি চালচলন। সেই ছাপ এসে পড়েছিল খাদ্যাভ্যাসেও, বিশেষ করে জলখাবারে। ব্রেকফাস্ট বললেই এখন আমাদের চোখের সামনে সবার আগে যে পাউরুটি ভেসে ওঠে, এ তারই ফল। কিন্তু দেশের কোণে কোণে এমন কিছু ঐতিহ্যবাহী জলখাবারও আছে, যা পুষ্টিতে আর স্বাদে কোনও অংশে ন্যূন নয়। তেমনই এক খাবার হল দুবরি।
Report- Pintu Awasthi: ব্রিটিশ শাসন ধীরে ধীরে বদলে দিয়েছে এই দেশের অনেক কিছু। বিশেষ করে নবজাগরণের সময় থেকে এর প্রভাব চোখে পড়েছে খুব স্পষ্ট এবং তীব্র ভাবে। ভারতীয়দের এক শ্রেণী তখন নিজেদের সব কিছুতেই খুঁত খুঁজে পাচ্ছেন, রপ্ত করছেন বিদেশি চালচলন। সেই ছাপ এসে পড়েছিল খাদ্যাভ্যাসেও, বিশেষ করে জলখাবারে। ব্রেকফাস্ট বললেই এখন আমাদের চোখের সামনে সবার আগে যে পাউরুটি ভেসে ওঠে, এ তারই ফল। কিন্তু দেশের কোণে কোণে এমন কিছু ঐতিহ্যবাহী জলখাবারও আছে, যা পুষ্টিতে আর স্বাদে কোনও অংশে ন্যূন নয়। তেমনই এক খাবার হল দুবরি।
advertisement
2/6
আজও বুন্দেলখণ্ডে মহুয়া ফুল থেকে একটি খাবার তৈরি করা হয়, যা মানুষ দুধের সঙ্গে খুব আগ্রহ নিয়ে খায়। এটিকে শক্তির ভাণ্ডারও বলা হয়। আয়ুর্বেদ নিজেই এর শক্তির কথা স্বীকার করে এবং দুর্বলদের এটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আজও বুন্দেলখণ্ডে মহুয়া ফুল থেকে একটি খাবার তৈরি করা হয়, যা মানুষ দুধের সঙ্গে খুব আগ্রহ নিয়ে খায়। এটিকে শক্তির ভাণ্ডারও বলা হয়। আয়ুর্বেদ নিজেই এর শক্তির কথা স্বীকার করে এবং দুর্বলদের এটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
advertisement
3/6
আজও ছত্রপুরের গ্রামাঞ্চলে লোকেরা তাদের বাড়িতে মহুয়া সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করে। এপ্রিল মাস থেকে এই মহুয়া পাওয়া শুরু হয়। এপ্রিল মাসে গ্রামবাসীরা খুব ভোরে এটি সংগ্রহ করে তাঁদের বাড়িতে সংরক্ষণ করেন। মার্চ-এপ্রিল মাসে মহুয়া গাছের ছোট হলুদ ফুল ফুটতে শুরু করে।
আজও ছত্রপুরের গ্রামাঞ্চলে লোকেরা তাদের বাড়িতে মহুয়া সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করে। এপ্রিল মাস থেকে এই মহুয়া পাওয়া শুরু হয়। এপ্রিল মাসে গ্রামবাসীরা খুব ভোরে এটি সংগ্রহ করে তাঁদের বাড়িতে সংরক্ষণ করেন। মার্চ-এপ্রিল মাসে মহুয়া গাছের ছোট হলুদ ফুল ফুটতে শুরু করে।
advertisement
4/6
ঘরে ঘরে সংগ্রহ করার পর তা শুকানো হয়। বর্ষাকালে গ্রামাঞ্চলে মহুয়া দুবরি তৈরি শুরু হয়। পাকা মহুয়া ফুল দিয়ে এক সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়। আজও গ্রামাঞ্চলের মানুষ মহুয়া দুবরি খুব তৃপ্তি করে খেয়ে থাকেন, এটি ১২ মাস ধরে খাওয়া যায়।
ঘরে ঘরে সংগ্রহ করার পর তা শুকানো হয়। বর্ষাকালে গ্রামাঞ্চলে মহুয়া দুবরি তৈরি শুরু হয়। পাকা মহুয়া ফুল দিয়ে এক সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়। আজও গ্রামাঞ্চলের মানুষ মহুয়া দুবরি খুব তৃপ্তি করে খেয়ে থাকেন, এটি ১২ মাস ধরে খাওয়া যায়।
advertisement
5/6
ছত্রপুরের বাসিন্দা শাফরিন বলেন, মহুয়ার দুবরি তৈরি করতে হলে ছোলা, ময়দা, চিরঞ্জি, মাখনা, কিসমিস এবং নারকেলের গুঁড়ো ব্যবহার করতে হবে। এতে শুকনো ফলও যোগ করা যায়। যদি আপনি কেউ প্লেন দুবরি খেতে চান, তাহলে মহুয়াই যথেষ্ট। দুবরি তৈরি করতে চিনি বা গুড়ের প্রয়োজন হয় না। শুকনো মহুয়া এমনিতেই মিষ্টি হয়। এর জন্য গরম জল দিয়ে মহুয়া ধুয়ে ফেলতে হবে। এর পর ঠান্ডা জল দিয়ে আবার মহুয়া ধুয়ে ফেলতে হবে।
ছত্রপুরের বাসিন্দা শাফরিন বলেন, মহুয়ার দুবরি তৈরি করতে হলে ছোলা, ময়দা, চিরঞ্জি, মাখনা, কিসমিস এবং নারকেলের গুঁড়ো ব্যবহার করতে হবে। এতে শুকনো ফলও যোগ করা যায়। যদি আপনি কেউ প্লেন দুবরি খেতে চান, তাহলে মহুয়াই যথেষ্ট। দুবরি তৈরি করতে চিনি বা গুড়ের প্রয়োজন হয় না। শুকনো মহুয়া এমনিতেই মিষ্টি হয়। এর জন্য গরম জল দিয়ে মহুয়া ধুয়ে ফেলতে হবে। এর পর ঠান্ডা জল দিয়ে আবার মহুয়া ধুয়ে ফেলতে হবে।
advertisement
6/6
ধোয়া মহুয়া এবার ফুটন্ত গরম করা জলে ঢেলে দিতে হবে। মহুয়া ১ থেকে ২ ঘণ্টা ফুটতে দিতে হবে। এই সময়ে মহুয়ার মধ্যে ছোলাও দিয়ে দিতে হবে। এর সঙ্গে ছোট ছোট ময়দার বল দিতে হবে। এতে চিরঞ্জি, মাখনা, কিসমিস এবং নারকেল গুঁড়ো দিতে হবে। চাইলে ড্রাই ফ্রুটসও দেওয়া যায়। এভাবে ফোটার কিছুক্ষণ পর মহুয়ার দুবরি তৈরি হয়ে যাবে। সুজির মতো মিষ্ট এই পদ দুধের সঙ্গে খাওয়া হয়।
ধোয়া মহুয়া এবার ফুটন্ত গরম করা জলে ঢেলে দিতে হবে। মহুয়া ১ থেকে ২ ঘণ্টা ফুটতে দিতে হবে। এই সময়ে মহুয়ার মধ্যে ছোলাও দিয়ে দিতে হবে। এর সঙ্গে ছোট ছোট ময়দার বল দিতে হবে। এতে চিরঞ্জি, মাখনা, কিসমিস এবং নারকেল গুঁড়ো দিতে হবে। চাইলে ড্রাই ফ্রুটসও দেওয়া যায়। এভাবে ফোটার কিছুক্ষণ পর মহুয়ার দুবরি তৈরি হয়ে যাবে। সুজির মতো মিষ্ট এই পদ দুধের সঙ্গে খাওয়া হয়।
advertisement
advertisement
advertisement