Blood Cancer in Youths: লাগামছাড়া জীবন, তরুণদের মধ্যেও হুরহুর করে বাড়ছে ব্লাড ক্যান্সার! কীভাবে বাঁচবেন? জানুন ডাক্তারের পরামর্শ...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Blood Cancer in Youths: ভারতে তরুণদের মধ্যে ব্লাড ক্যানসারের আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। দিল্লিতে প্রতি বছর AML ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন হাজার হাজার যুবক। সময়মতো রোগ শনাক্ত না হলে প্রাণহানির সম্ভাবনা থাকে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা...
এক সময় মনে করা হতো ক্যানসার মূলত বৃদ্ধদের রোগ, কিন্তু বর্তমানে তরুণরাও এই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। জানলে অবাক হবেন, রাজধানী দিল্লিতেই প্রতি বছর একিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়া (AML) নামক ব্লাড ক্যানসারের ৩০০০-র বেশি তরুণ রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। এটি এক ধরনের আগ্রাসী ব্লাড ক্যানসার, যার সময়মতো চিকিৎসা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
advertisement
চিকিৎসকদের মতে, বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী যুবসমাজের মধ্যে এই রোগ দ্রুত বাড়ছে। এটি এক ভয়াবহ সংকেত। এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি খুবই জরুরি, কারণ সময়মতো রোগ শনাক্ত না হলে তা মারাত্মক আকার নিতে পারে।
advertisement
TOI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, তরুণদের মধ্যে AML ক্যানসারের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। তবে এর চেয়েও বেশি চিন্তার বিষয় হল, এই রোগে আক্রান্ত মাত্র ৩০% রোগীই চিকিৎসা সম্পূর্ণ করতে পারেন। এর পেছনের মূল কারণ হল ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং চিকিৎসা পরিকাঠামোর অভাব।
advertisement
চিকিৎসকদের মতে, ভারতে AML ক্যানসার সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতনতা নেই। পাশাপাশি, এই ক্যানসারের চিকিৎসা সহজলভ্য নয়। তাই এই ক্যানসারকে সঠিক সময়ে শনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করাটা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে বহু তরুণ প্রাণ হারাচ্ছেন।
advertisement
AIIMS-এর মেডিক্যাল অঙ্কোলজি বিভাগের অ্যাডিশনাল প্রফেসর ড. রঞ্জিত কুমার সাহুর মতে, AML ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ অনেক সময় সাধারণ রোগের মতোই মনে হয়, যেমন অতিরিক্ত ক্লান্তি বা সংক্রমণ। ফলে বহু মানুষ একে উপেক্ষা করেন এবং দেরিতে রোগ ধরা পড়ে।
advertisement
এই ব্লাড ক্যানসার সাধারণ ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে ধরা সম্ভব, কিন্তু চিকিৎসার জন্য রোগীকে যেতে হয় টার্শিয়ারি সেন্টারে, যেখানে চিকিৎসা ব্যয় অত্যন্ত বেশি। যদি সময়মতো এই ক্যানসার ধরা না পড়ে, তাহলে এটি অ্যাডভান্স স্টেজে চলে যায় এবং তখন চিকিৎসার সুযোগ অনেকটাই কমে যায়।
advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব মানুষ আগের জীবনে কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন নিয়েছেন, তাদের মধ্যে AML হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। এই ক্ষেত্রে AML একটি সেকেন্ডারি ক্যানসার হিসেবে দেখা দেয়। রোগীদের অবস্থার ভিত্তিতে ‘ফিট’ ও ‘আনফিট’ শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। ‘ফিট’ রোগীদের ক্ষেত্রে স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট প্রয়োজন হয়, যা প্রায় ৫০% ক্ষেত্রেই সম্ভব।
advertisement
BLK সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের হেমাটো-অঙ্কোলজি এবং BMT বিভাগের ভাইস-চেয়ারম্যান ড. ধর্মা চৌধুরীর মতে, দিল্লির মতো বড় শহরেও AML-এর জন্য পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। সরকারি হাসপাতালে এই ক্যানসারের নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি না থাকায় রোগ নির্ণয়ের আগেই অবস্থার অবনতি ঘটে।
advertisement
বিশ্বজুড়ে AML ক্যানসারের চিকিৎসায় জেনেটিক টেস্ট ও টার্গেটেড মেডিসিন ব্যবহৃত হচ্ছে, যা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু ভারতে এই সুবিধা এখনও সীমিত। টার্গেটেড ওষুধের দাম বেশি এবং জাতীয় স্বাস্থ্য প্রকল্পে এসব ওষুধ অন্তর্ভুক্ত নয়। এর ফলে ভারতে AML রোগীদের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করার প্রথম ৩০ দিনের মধ্যেই ১৫-২০% মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
advertisement
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি সংক্রমণ ছাড়াই প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা শুরু করা যায়, তবে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়ে। তাই ভারতের উচিত দ্রুত আরও উন্নত ও সুলভ চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
advertisement
দিল্লি AIIMS-এর মেডিক্যাল অঙ্কোলজি বিভাগের অ্যাডিশনাল প্রফেসর ড. রঞ্জিত কুমার সাহু বলেছেন, "AML ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ অনেক সময় সাধারণ ক্লান্তি বা সংক্রমণের মতো হয়, তাই রোগীরা সেটিকে গুরুত্ব দেন না। একমাত্র সচেতনতা ও প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসাই এই রোগ থেকে প্রাণ বাঁচাতে পারে।"
advertisement