*ভ্যানিলা মানেই যেন স্বাদকোরকে নিশ্চিত আরামের ছোঁওয়া। ভ্যানিলার নির্যাসের মিষ্টি, উষ্ণ সুবাস মনকেও শান্ত করে। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে ত্বক এবং চুলের যত্নেও ভ্যানিলা লাগে। ভ্যানিলার নির্যাস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফেনোলিক যৌগ ভ্যানিলিন সমৃদ্ধ যা ত্বকের ক্ষতি রোধ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও ভ্যানিলায় রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন, বিশেষ করে নিয়াসিন, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি৬, এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড- যা ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে৷ (সানি লিওনের চকচকে ত্বক)
*ত্বক ও চুলের যত্নে ভ্যানিলা-শ্যাম্পু বা লোশনে কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা যোগ করলে সেটা ত্বক আর চুলের জন্য ভালো হয়। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে যাঁরা ব্রনর সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভ্যানিলা যোগ করতে পারেন তাঁদের অ্যাকনে-বিরোধী পণ্যে। ভ্যানিলা-মিশ্রিত পণ্য লাগালে ব্রনর ব্রেকআউট, লালভাব ও জ্বালা কম হয়।এছাড়া যেখানে যেখানে ব্রন হয়েছে সেখানে কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা থুপে দিতে হবে। সারা রাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেললে ব্রন পরিষ্কার হবে।
*তবে এক্ষেত্রে ভ্যানিলা ব্যবহার করতে হলে অন্য তেলের সাহায্য নিতে হবে। আরগান তেলের মতো হালকা তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা মিশিয়ে ফেস অয়েল তৈরি করে নেওয়া যায়। এই তেল প্রতিদিন মাসাজ করার জন্য ব্যবহার করা যায়। প্রতিদিন এই তেল ব্যবহার করলে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের মেরামতি হয় এবং ত্বকে লাবণ্য আসে। কেন না, ভ্যানিলায় রয়েছে বি-ভিটামিন যা ত্বক সুস্থ রাখে। (করিনার ত্বক লাবন্যে ভরা)
*কীভাবে ব্যবহার করতে হবে: ৫ থেকে ৬ ফোঁটা ভ্য়ানিলা নিয়ে ব্রাউন সুগার বা চালের গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে তাতে ২ ফোঁটা ভ্যানিলা এসেনসিয়াল অয়েল এবং লেবুর রস যোগ করতে হবে। এই পেস্ট মুখে লাগাতে হবে। কয়েক মিনিটের জন্য মাসাজ করে প্রথমে গরম জল দিয়ে ধুতে হবে, তার পরে ত্বককে টোন করতে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিতে হবে। (সুস্মিতার টানটান ত্বক)