

করোনার মাঝেই আরও একটি নতুন ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছে দেশে। এভিয়ান ইফ্লুয়েঞ্জা (Avian Influenza) নামের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই ৪০০টি পাখির মৃত্যু হয়েছে রাজস্থানে। ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়েছে হিমাচল প্রদেশ, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশেও। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাইরাস পাখির থেকে মানুষের শরীরেও ছড়াতে পারে।


এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ - এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু হয়ে গিয়েছে। পাখিদের থেকে মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, সরাসরি এই ভাইরাসে আক্রান্ত পাখিদের সংস্পর্শে এলেই সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।


কোনও ব্যক্তি যদি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তা হলে কিন্তু তাঁর থেকেও অন্যদের শরীরে এটি ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে বাতাসে। যদি কারও এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়ে থাকে, তা হলে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে তিনি বা তাঁরা নিজেদের বাকিদের থেকে আলাদা করে রেখেছেন। না হলে ভাইরাসটি করোনার মতোই ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু কতটা দ্রুত এটি ছড়াতে পারে, তা জানা যায়নি।


এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ- কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা, পেশিতে যন্ত্রণা, মাথাব্যথা-সহ শ্বাসের সমস্যা হতে পারে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলে। ভাইরাসটির প্রভাব থাকতে পারে ৭ থেকে ৮ দিন পর্যন্ত।


এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে- যাঁরা পাখি নিয়ে কাজ করেন বা পাখিদের সংস্পর্শে আসেন, তাঁদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ যাঁরা চাষ করেন, বনে-জঙ্গলে কাজ করেন বা অর্নিথোলজিস্টদের এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের কাজ যাঁরা করেন, তাঁদের ভালো করে হাত ধুয়ে, নাক-মুখে হাত দেওয়া উচিৎ।


এই ভাইরাসের চিকিৎসা - হিমাচল প্রদেশে প্রায় ১৮০০-র কাছাকাছি পরিযায়ী পাখির মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে। পং ড্যাম লেকে তাদের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ১৫০০ পাখির মৃত্যু হয়েছে কেরলের কোট্টায়ামে। কিন্তু কোনও মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছে, এমন কোনও উদাহরণ এই মুহূর্তে নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, যদি কেউ আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তা হলে অ্যান্টি-ভাইরাল ট্যাবলেট খেলেই কমে যেতে পারে!