বছর ৩০ পেরোলেই ত্বকের শিথিলতা কমতে শুরু করে। অকালেই বলিরেখা যেন ত্বকের বয়স নিমেষে বাড়িয়ে দেয়। বয়স বাড়ার আগেই বলিরেখা পড়লে বয়সের তুলনায় বেশি দেখায়। বলিরেখা ঢাকতে পার্লারে দিয়ে নানারকমের ট্রিটমেন্ট করলেও তা যেন সম্পূর্ণ দূর করা যায় না। জানেন কি, খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে সামান্য পরিবর্তন আনলেই এই বলিরেখার থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়।
কপালে ভাঁজ পড়ছে, চোখের চারপাশ গুলোও যেন আগের থেকে কুঁচকে গেছে। এই সমস্যায় নাজেহাল অনেকেই। এছাড়াও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বলিরেখা একটা বড় সমস্যা। এই বলিরেখা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়সটা যেন একলাফে দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তবে শুধু বলিরেখা নয়, ট্যানিং, পিগমেন্টেশন, ইনফেকশন সমস্ত রকম সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে এই সস্তার সব্জি।
বিট-গাজরে সারাবছরই বাজারে পাওয়া যায়। স্যালাড থেকে শুরু করে নানা রকমের তরি-তরকারিতে বিট-গাজর ব্যবহার করা হয়। কেবল খাবারের স্বাদ বাড়াতেই নয়, বিটের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা ত্বকের জন্য ভীষণ কার্যকরী। বলিরেখা কমাতেও অত্যন্ত কার্যকর এই সব্জি। বিটের মধ্যে ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি ও আয়রন থাকে। রক্তে শর্করার পরিমান বেশি থাকলে বিট না খাওয়াই ভাল।
ত্বক সুস্থ ও সতেজ রাখার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বিট রাখুন। শরীরে আয়রনের ঘাটতিতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য কমতে শুরু করে। যা থেকে দেখা দেয় বলিরেখা। বিটের মধ্যে ভিটামিন এ ও ক্যারোটিনয়েড থাকে। বিটের মধ্যে লুয়েটিন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। বিটে ভিটামিস সি রয়েছে যা কোলজেন সিন্থেসিসের হার বাড়ায়। ত্বক টানটান রাখতে বিটের অনেক গুণ রয়েছে।
প্রতিদিনের ডায়েটে ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমও বিশেষ জরুরি। তাই সবার আগে ঘুমের সময় ঠিক রাখুন। বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকলেও মুখে বলিরেখা পড়ে। ত্বকের যত্ন নিলেই হল না, শরীরও সুস্থ রাখা দরকার। হাজারো কর্মব্যস্ততার মধ্যেও খানিকটা সময় বার করে যোগাসন কিংবা ব্যায়াম করুন। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)