বৃষ্টির আভাস বুঝে আগেভাগেই খাবার সংগ্রহ করে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে পিঁপড়ের দল। তাই বর্ষাকালে পিঁপড়ের উপদ্রবে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে গৃহস্থ। পিঁপড়ের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে নানা রাসায়নিক ও কীটনাশকে ভরসা করতে হয়। এতে অকারণে মারাও পড়ে পিঁপড়ে, আবার রাসায়নিকের কারণে বাড়ির সদস্যদের শারীরিক সমস্যাও হয়। অনেকের এই সব রাসায়নিক থেকে নানা অসুখও ছড়ায়।
যে রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে পিঁপড়েরা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ চালায়, নিজেদের রাস্তা ঠিক করে, সেই রাসায়নিককে নষ্ট করে ঝাল জাতীয় উপাদান। তাই লঙ্কাগুঁড়োর গন্ধ সহ্য করতে পারে না পিঁপড়েরা। বর্ষায় বাড়ির উঁচু জায়গাগুলোয় (যেখানে শিশুদের হাত পৌঁছবে না) ছড়িয়ে রাখুন অল্প লঙ্কাগুঁড়ো। পিঁপড়েরা আর বাসাই বাঁধবে না ওখানে।
ভিনিগারের অম্ল পিঁপড়ে তাড়াতে খুব কার্যকর। এক কাপ জলে কিছুটা ভিনিগার মিশিয়ে তা ছড়িয়ে দিন পিঁপড়ে উপদ্রুত এলাকায়। পিঁপড়েরা ওই এলাকার ধারেকাছে ঘেঁষবে না। পিঁপড়ের অবাধ যাতায়াত যে সব জায়গায়, সেখানে দারচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে রাখুন। দারচিনির গন্ধ পিঁপড়েদের ঘ্রাণশক্তিকে কিছুটা দুর্বল করে দেয়। পিঁপড়ের দিক নির্দেশ ক্ষমতা লোপ পায়।